কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে অ্যালজাইমার্সের চিকিৎসা
অ্যালজাইমার্সের মানে স্মৃতি মুছে যাওয়া সমস্যার চিকিৎসায় আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রয়োগের কথা জানালেন ভারতীয় গবেষকরা। কম খরচে এবং নিরুপদ্রপে এই প্রক্রিয়া চালানো সম্ভব বলে জানানো হয়েছে। এই পদ্ধতি অনেক সমস্যার সমাধান ঘটাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে জানাগেছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের উপর ভিত্তি করে এক বিশেষ পদ্ধতি আমদানি করেছেন ভারতের গবেষকরা, যার মাধ্যমে দ্রুত এবং সহজে অ্যালজাইমার্সের ওষুধ বের করা সম্ভব বলে জানানো হয়েছে।
সাম্প্রতিককালে এলাকার কোন স্টোরে এই রোগের কোন ওষুধ মজুত রয়েছে, তা এই পদ্ধতির মাধ্যমে জানা যাবে। সেই সঙ্গে এই পদ্ধতি দেখিয়ে দেবে যে স্নায়ুর এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কী ধরনের থেরাপি প্রয়োজন। কোন ওষুধ কত পরিমাণ খেলে অ্যালজাইমার্সের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব, তাও এই পদ্ধতির মাধ্যমে জানা এবং বোঝা সম্ভব বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
গতিশীল বিশ্বে মানুষের ঘাড়ে কাজের চাপ যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে স্নায়ু এবং মানসিক সমস্যা। একটা বয়সের পর এই সেই সমস্যায় বড়সড় আকার নেয়, যখন তা অ্যালজাইমার্সের আকার নেয়। যে রোগের মাত্রা বেড়েই চলেছে।
সেই সঙ্গে এই রোগ নিয়ে মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে ভীতি। এই পরিস্থিতি থেকে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের উপরে ভিত্তি করে তৈরি করা বিশেষ পদ্ধতি এই রোগ সম্পর্কে মানুষের সব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পাশাপাশি অ্যালজাইমার্সের চিকিৎসা এবং ওষুধ নিয়ে নতুন নতুন তথ্য সরবরাহ করবে বলে জানানো হয়েছে।
নতুন পদ্ধতির অন্যতম স্রষ্টা তথা হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের গবেষক আর্টেম সকোলভ জানিয়েছেন, অ্যালজাইমার্স রোগের চিকিৎসা সংক্রান্ত বহু ওষুধ বিক্রি হয় বাজারে। তার মধ্যে কোনগুলো দরকারি, কোনগুলো নয়, কোন ওষুধ কোন রোগের কোন স্তরে খাওয়া আবশ্যক, তার তথ্য আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সকোলভ।
নতুন এই পদ্ধতির নাম দেয়া হয়েছে ড্রাগ রিপার্পাসিং ইন আলজাইমারস ডিসিজ বা DRIAD। ওষুধের মাধ্যমে রোগ নিরাময়ের সময়ে মানুষের মস্তিষ্কের নিউরাল কোষগু কেমনভাবে সাড়া দেয়, তা এই পদ্ধতির মাধ্যমে জানা যায়। ওষুধের প্রয়োগে মানুষের স্নায়ুতন্ত্রে কতটা পরিবর্তন সাধিত হল, তা অনুধাবন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
এমএমএফ/এএসএম