বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ইমোর ক্যাম্পেইন
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে অগ্রগামী করতে সম্প্রতি ‘সেলিব্রেট লাইফ টুগেদার’ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে ইমো। এটি চলতি বছরের তাদের প্রথম ক্যাম্পেইন এবং এর মাধ্যমে এমন কিছু মানুষের গল্প ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হবে যারা ইমো ব্যবহার করে জীবনযাত্রার মান উন্নত করার পাশাপাশি নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন।
এছাড়াও ক্যাম্পেইনের আরেকটি উদ্দেশ্য হলো- সব ধরনের মানুষকে তাদের অনুপ্রেরণামূলক গল্প শেয়ার ও ইমো’র সঙ্গে তাদের জীবন উপভোগ করতে উৎসাহিত করা।
প্রথম গল্প হিসেবে ইউটিউবে মেঘার গল্প দেখা যাবে। ২৬ বছর বয়সী তরুণী মেঘা ইমোর মাধ্যমে কিভাবে তার ক্যারিয়ার নতুনভাবে শুরু করে নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছেন, সেটি উঠে এসেছে এই ভিডিওতে। এছাড়া সারা বছরজুড়ে দেখানো হবে আরও নতুন কিছু মানুষের সফলতার গল্প।
গত বছরের মার্চ থেকে করোনাভাইরাসের পুরো সময়জুড়ে অনেক মানুষ যখন চাকরি হারিয়েছেন, তখন মেঘা প্রতিমাসে প্রায় তিন হাজার মার্কিন ডলার আয় করেছেন। শুরুতে তার ধারণা ছিল না, ইমো’র মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা সম্ভব। প্রথমে তার একজন বন্ধুর আহ্বানে তিনি কয়েকটি ইমো গ্রুপে যুক্ত হন। তবে শিক্ষাভিত্তিক একটি গ্রুপে যুক্ত হওয়াটি ছিল তার জীবনের মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। তিনি প্রতিদিন নতুন জিনিস শিখতে থাকেন এবং প্রথমদিকের একজন ইমো হোস্ট হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এখন মেঘা প্রতিদিন প্রায় ৭৫টি গ্রুপ সক্রিয়ভাবে পরিচালনা করেন। তার সবচেয়ে বড় গ্রুপটিতে ৭৮ হাজারের বেশি এবং সবচেয়ে ছোট গ্রুপটিতে প্রায় ২২ হাজার সদস্য রয়েছে। এখন তিনি অন্যদেরকেও বিভিন্ন গ্রুপে সংযুক্ত হতে ও নিজের গ্রুপ তৈরি করতে উৎসাহিত করছেন।
মেঘা বলেন, ‘আমি ইমোকে শুধুমাত্র একটি ম্যাসেজিং ও কলিং অ্যাপ হিসেবে সীমাবদ্ধ করে রাখব না। বরং আমি বলবো, এই অ্যাপে সীমাহীন সুযোগ অপেক্ষা করছে। এটি আমাকে জীবিকা নির্বাহে সহায়তা করে আসছে এবং আমি বিশ্বাস করি, এর মাধ্যমে অনেকের জীবন পরিবর্তন করা সম্ভব। বিশেষ করে নারী ও গৃহিণীদের, যারা সাধারণত বাসার বাইরে খুব একটা বের হন না।’
ইমো’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টোফার হিউ বলেন, ‘ইমো-তে আমরা মানুষকে সংযুক্ত করতে ও তাদের জীবনমান উন্নত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা গর্বিত যে, ইমো ব্যবহারকারীরা এটিকে তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ বানাচ্ছেন এবং তাদের জীবনের অর্জনে ইমো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
ইনস্ট্যান্ট কমিউনিকেশন মাধ্যম হিসেবে ২০২০ সালে ইমো ব্যবহারের সংখ্যা রেকর্ড ছুঁয়েছে। বাংলাদেশিরা ইমো’র মাধ্যমে প্রায় ৯ হাজার ৬৮০ কোটি ম্যাসেজ এবং ২ হাজার ৬০০ কোটি অডিও ও ভিডিও কল করেছে। এছাড়াও ইমো স্থানীয়করণ ও শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে ২০২০ সালে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের অডিও ও ভিডিও কলে প্রায় ১৫ কোটি গিগাবাইট ডাটা বাঁচিয়েছে।
এছাড়াও ইমো মাইপ্ল্যানেট কন্টেন্ট ফিড, ভয়েসরুম ও গেমস ইত্যাদির মতো ইন্টারঅ্যাকটিভ ফাংশন তৈরি করেছে যেখানে মানুষ তাদের আগ্রহের বিষয় জানাতে পারে, প্রতিভা বিকাশ ও জীবনের নতুন নতুন সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে পারে। #CelebratelLifetTogether-এ জয়েন করতে হলে একজন ব্যবহারকারী ইমো নিয়ে তার মৌলিক গল্প ক্যাম্পেইনের হ্যাশট্যাগ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং ইমো’র মাইপ্ল্যানেটে শেয়ার করতে পারে।
এআরএ/এমএস