প্রযুক্তিপ্রেমীদের উৎসাহ দিতে ল্যাপটপ মেলায় মোস্তাফা জব্বার
সকালে গেট খোলার পর থেকেই প্রযুক্তিপ্রেমীরা ভিড় জমাচ্ছেন ল্যাপটপ মেলার স্টলগুলোতে। আর প্রযুক্তিপ্রেমীদের উৎসাহ দিতে মেলা প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের এডুমেকার ল্যাপটপ মেলার শেষ দিনেও ছিল উপচে পড়া ভিড়। সকাল থেকেই দর্শক সমাগম ছিল প্রচুর।
ভিড়ের স্রোতের মধ্যেই এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা জব্বার জাগো নিউজকে বলেন, প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। ডিভাইস ভেদে এখন আলাদা আলাদা মেলা হচ্ছে। ১৯৮৯ সালের কথা তখন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে আমরা প্রথম কম্পিউটার মেলার আয়োজন করি। স্পেস ছিল মাত্র ৩ হাজার স্কয়ার ফুট। আর এখনতো ২/৩ লাখ স্কয়ার ফুট জায়গায় দর্শক সমাগম সংকুলান হয় না।
এরপর ১৯৯২ সারে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি হোটেল সোনারগাঁয়ে আয়োজন করে দেশের বৃহত্তম কম্পিউটার মেলার। এখনতো ডিভাইসগুলোর আলাদা করে ল্যাপটপ মেলা, স্মার্টফোন মেলা হচ্ছে। উপস্থিতি বেড়েছে কয়েকগুণ।
অন্য এ প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফা জব্বার বলেন, মেলায় কি পরিমাণ বিক্রি হলো এটা বিবেচ্য বিষয় না। বিষয় হচ্ছে মানুষ প্রযুক্তির নতুন পণ্যগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছে কি না। এসবের গুণাগুণ জানার চেষ্টা করছে কি না। দিন যতো যাচ্ছে ততই প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ছে মানুষ। আর প্রযুক্তির এই অভাবনীয় পরিবর্তনের সঙ্গে দেশের মানুষের প্রযুক্তি পণ্যেরও চাহিদা বেড়েছে ।
এবারের মেলায় এসার, আসুস, ডেল, এইচপি, লেনোভো, তোশিবা, সনি, টুইনমস, গিগাবাইট, ডিলাক্স, এক্সট্রিম, লজিটেক, ডিলিংক, আইনল, শাওমি, এইচটিএস, মাইক্রোল্যাব, প্রেস্টিজিও, ইসেট অ্যান্টিভাইরাস, সিস ইনফ্লেক্সিয়ন পয়েন্টের মতো ব্র্যান্ডের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।
মেলায় অংশ নিয়েছে স্মার্ট টেকনোলজিস লিমিটেড, গ্লোবাল ব্র্যান্ড (প্রা:) লিমিটেড, কম্পিউটার সোর্স, ফ্লোরা লিমিটেড, লেনোভো, এইচটিএস, গ্যাজেট গ্যাং সেভেন, ডিএক্স জেনারেশন, মাইক্রোল্যাব, কম্পিউটার ভিলেজ, এজিডি আইটি সল্যুউশনস, বিট্রাক টেকনোলজিস লিমিটেডসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান।
আরএম/এসকেডি/এসএম