ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

নির্বাহী আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে ফেসবুক-টুইটারের মামলা খারিজ

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:১৬ এএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২০

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক বিচারক টেক গ্রুপের করা একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছেন। ফেসবুক এবং টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে সুরক্ষা দেয়া প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশকে অবৈধ ঘোষণার জন্য মামলাটি করা হয়েছিল। খবর- রয়টার্স।

শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) মামলাটি খারিজের আদেশ দেন বিচারপতি ট্র্যাভর ম্যাকফ্যাডেন।

আদেশে বিচারক বলেন, ফেসবুক, গুগল এবং টুইটারের অর্থায়নে পরিচালিত সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড টেকনোলজির (সিডিটি) কার্যনির্বাহী আদেশের বিরোধিতা করার কোনো অবস্থান নেই। কারণ এই আদেশ সিডিটির জন্য নয়, বরং ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনের মতো রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোকে নিয়ন্ত্রণের জন্য দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে এই আদেশ জারি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার উদ্দেশ্য ছিল এজেন্সিগুলোকে কমিউনিকেশনস ডিসেন্সি অ্যাক্টের ২৩০ ধারা দুর্বল বা বাতিল করতে চাপ প্রয়োগ করা। এই বিধান ইন্টারনেট কোম্পানিগুলোকে তাদের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা কনটেন্টের বিপরীতে দায়ের হওয়া মামলাগুলো থেকে সুরক্ষা দেয়।

তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি সিডিটি।

প্রসঙ্গত, টুইটারের সঙ্গে বিবাদের জেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ‘শায়েস্তা’ করতে এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে ফেডারেল স্তরে ফেসবুক ও টুইটারের মতো প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা সীমিত রাখার লক্ষ্যে এর আগে যে বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল, তা লোপ পায়। এ আদেশের ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব বক্তব্য তুলে ধরলে কোম্পানিকে তার দায় বহন করতে হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সহজেই মামলা করা যায়।

ট্রাম্প বলেছিলেন, ফেসবুক ও টুইটারের মতো কোম্পানি এতদিন লাগামহীন ক্ষমতা ভোগ করে নাগরিক ও বিশাল সংখ্যক পাঠকের মধ্যে বার্তা চালাচালির ক্ষেত্রে ইচ্ছামতো সেন্সর করেছে, সীমা নির্ধারণ করেছে, সম্পাদনার কাঁচি চালিয়েছে, বার্তার গঠন বদলে দিয়েছে এবং গোপনও করেছে। ট্রাম্পের যুক্তি ছিল, এই সব কোম্পানির পরিষেবা নিরপেক্ষ অবস্থানে না থেকে সম্পাদনা করে নির্দিষ্ট মতামত তুলে ধরছে। তাই কোনো সুরক্ষা দাবি করার অধিকার তাদের নেই।

এসএস/এমএস