ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রামীণফোনের ‘মাই স্টাডি’

প্রকাশিত: ১২:২৫ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০১৫

রাজধানীর বাংলাদেশ ব্যাংক হাই স্কুলে টেলিনর ডিজিটালের সঙ্গে যৌথভাবে ‘মাই স্টাডি’ প্রকল্প পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার ঘোষণা দিয়েছে গ্রামীণফোন। বুধবার অ্যাপটির উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমাদ এমপি।

টেলিনর ডিজিটাল মোবাইলের মাধ্যমে অধ্যয়নের জন্যে অ্যাপ ‘মাই স্টাডি’তৈরি করেছে আর গ্রাহকদের জন্য অ্যাপটি নিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন। নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাপটি বানানো হয়েছে। অ্যাপটিতে আপাতত জাতীয় পাঠ্যক্রমের গণিত ও ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
 
প্রাথমিকভাবে করা কর্মসূচি উদ্বোধনের প্রাক্কালে গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় গ্রামীণফোনের আরেকটি উদ্যোগ ‘মাই স্টাডি’প্রকল্পটি। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে আরও স্বাচ্ছ্যন্দে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সহায়তা করবে এ অ্যাপটি।

দেশকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ভূমিকা নিয়ে বলতে গিয়ে সিএমও বলেন, প্রযুক্তির সুবিধা ব্যবহারের ক্ষেত্রে শহুরে ও গ্রামীণ স্কুলগুলোর মধ্যে যে অসাম্য তা দূর করার মাধ্যমে ইন্টারনেট কিভাবে শিক্ষা বিপ্লবের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে প্রকল্পটি তার একটি দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ।  

অ্যাপটি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিষয় সংশ্লিষ্ট তথ্য কনটেন্ট পাবে ও তারা তাদের নিজেদের মূল্যায়ন করতে পারবে। যেক্ষেত্রে তাদের উন্নতি করা দরকার সে ব্যাপারে তারা প্রয়োজনীয় পরামর্শ পাবে। অ্যাপটিতে বাবা মায়েদের জন্যও একটি মড্যিউল থাকবে যার মাধ্যমে তারা তাদের সন্তানদের অগগতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

বাংলাদেশে মোবাইল ইকো-সিস্টেমের বিস্তারে ‘মাই স্টাডি’অ্যাপটি টেলিনর ডিজিটালের আরেকটি উদ্যোগ এ উদ্ধৃতি দিয়ে টেলিনরের হেড অব প্রডাক্ট ইনোভেশন গানার সেলেগ বলেন, কিভাবে শুধুমাত্র কথাবলার অনুষঙ্গ থেকে সমাজ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের উপযোগিতা ও কার্যকারিতা আরও বাড়ানো যায় তার একটি নিদর্শন এ ধরনের অ্যাপ্লিকেশন।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনকে সহায়তা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।

প্রকল্পটি আরামবাগে অবস্থিত বাংলাদেশ বাংক হাই স্কুলে তিনশ’ অতিথির সামনে উন্মোচন করা হয়। অতিথিদের মধ্যে শিক্ষার্থী, বাবা-মা, শিক্ষক, শিক্ষাবিদ ও অবিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

আরএম/জেডএইচ/এমএস