ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

কোভিড-১৯ নিয়ে গুগলের সতর্কবার্তা

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:০৯ পিএম, ০৩ এপ্রিল ২০২০

বিশেষ দিন বা বিশেষ ব্যক্তিকে স্মরণ করে নিজেদের হোম পেজে পরিবর্তন আনে সার্চ জায়ান্ট গুগল। বর্তমানে সারা বিশ্বের দুশ্চিন্তার কারণ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। এবার করোনা থেকে নিজে ও সবাইকে নিরাপদ রাখতে বিশ্ববাসীর স্লোগান-‘বাড়িতে থাকুন নিরাপদে থাকুন’ পুনরাবৃত্তি করল গুগল।

কোভিড-১৯ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ডুডল প্রকাশ করেছে গুগল। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে এই বিশেষ ডুডল চোখে পড়ছে।

হোম অর্থাৎ বাড়ির আদলে গুগল লেখাটি সাজিয়েছে এই সার্চ জায়ান্ট। এতে করে সংকটকালীন এই মুহূর্তে বাড়িতে থাকাকে উৎসাহিত করছে গুগল। শুধু তাই নয়, বাড়িতে থাকার সময় কীভাবে সময় পার করতে হবে তারও চিত্র এঁকে দিয়েছে এই সার্চ ইঞ্জিন। বাড়িতে অবস্থানকালীন বই পড়ে, গান শুনে, সিনেমা দেখে, বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে এবং শরীরচর্চা করে সময় কাটাতে বলছে গুগল।

ডুডলে ক্লিক করলে গুগল নিয়ে যাচ্ছে একটি বিশেষ পেজে। সেখানে বলা হচ্ছে, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে কী করা যাবে আর কী করা যাবে না।

গুগল বলছে, কোডিভ-১৯-এর ভ্যাকসিন এখনও আবিষ্কার হয়নি। তাই প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে বাঁচার অন্যতম উপায়-

১. প্রতিদিন সাবান ও পানি কিংবা অ্যালকোহলভিত্তিক হ্যান্ড রাব দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে হাত ধৌত করুন;

২. হাঁচি, কাশি দেয়ার সময় টিস্যু বা রুমাল ব্যবহার করুন;

৩. অসুস্থ ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে এক মিটার বা তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে চলুন এবং

৪. নিজে অসুস্থবোধ করলে বাড়িতে অবস্থান করুন।

এছাড়া অপরিষ্কার হাতে নাক, মুখ, চোখ স্পর্শ করতে নিরুৎসাহিত করেছে গুগল।

ওয়ার্ল্ডওমিটারস ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ২০৪টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এ পর্যন্ত এই ভাইরাসে বিশ্বে ৫৩ হাজার ১৫৮ জন মারা গেছে। মোট আক্রান্ত হয়েছে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৩৮৬ জন। সুস্থ হয়েছে ২ লাখ ১২ হাজার ১৮ জন।

সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ২ লাখ ৪৪ হাজার ৩২০ জন। সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ইতালিতে, ১৩ হাজার ৯১৫ জন।

ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। একদিনেই ঝরে গেছে এক হাজার ৩৫৫ জনের প্রাণ। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ হাজার ৩৮৭ জন।

দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫৯ হাজার ১০৫ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৪২৪ জন।

এসআর/জেআইএম