রবি-এয়ারটেল একীভূতে বিটিআরসির সায়
মোবাইল কোম্পানী রবি ও এয়ারটেল একীভূত হওয়ার ব্যাপারে সরকারের নীতিগত সায় মিলছে। টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রণকারি প্রতিষ্ঠান বিটিআরসি বুধবার বৈঠকে এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, কমিশন সভায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। শীঘ্রই অনুমোদন মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে। একীভূত হলে পরবর্তী নাম হবে ‘রবি’।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সচিব সারওয়ার আলম জাগো নিউজকে বলেন, এক হওয়ার এ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে টেলিযোগাযোগ আইন ২০০১ ও কোম্পানি আইন ১৯৯৪ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে সরকারকে অনুরোধ করেছে রবি ও এয়ারটেল। তাদের আবেদন অনুযায়ী, রবি আজিয়াটা ও এয়ারটেল বাংলাদেশ একীভূত (মার্জার) হতে যাচ্ছে।
একীভূত হওয়ার এই চিঠিতে সই করেছেন রবি আজিয়াটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুপুন বীরাসিংহে এবং এয়ারটেল বাংলাদেশের এমডি ও সিইও প্রশান্ত দাস শর্মা।
রবি ও এয়ারটেল সূত্রে জানা গেছে, বিটিআরসি অনুমোদন পেলে ২০১৬ এর জানুয়ারি মাসে এক হওয়ার এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে।
দুই অপারেটরের আবেদন অনুযায়ী, নতুন গঠিত কোম্পানিতে রবির ৭৫ শতাংশ আর এয়ারটেলের ২৫ শতাংশ মালিকানা থাকবে। রবির ৭৫ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে ৭০ শতাংশ শেয়ার থাকবে মালয়েশিয়ার আজিয়াটা গ্রæপ বারহাদের কাছে আর ৫ শতাংশ থাকবে জাপানের এনটিটি ডোকোমোর কাছে। একীভূত হলে এয়ারটেল বাংলাদেশের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি ও দেনার দায়িত্ব নেবে রবি।
ভারতী এয়ারটেলের প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন ২০১৫ অনুযায়ী, এপ্রিল ২০১৪ থেকে মার্চ ২০১৫ পর্যন্ত এক বছরে এয়ারটেল বাংলাদেশ লোকসান দিয়েছে ৬৭৪ কোটি ৬০ লাখ রুপি বা ৮২২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা (১ টাকা সমান দশমিক ৮০২ রুপি হিসাবে)।
বর্তমানে এয়ারটেল বাংলাদেশের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৬০ কোটি রুপি আর দেনার পরিমাণ ৪ হাজার ৫৫৮ কোটি রুপি।
অপারেটর দুটি এক হলে ৩ কোটি ৭০ লাখ গ্রাহক নিয়ে এটাই হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুঠোফোন অপারেটর। বর্তমানে ৫ কোটি ৩৯ লাখ গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশে শীর্ষে রয়েছে গ্রামীণফোন। আর ৩ কোটি ২৪ লাখ গ্রাহক নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলালিংক।
আরএম/এএইচ/আরআইপি