শেষ হলো দেশের সর্ববৃহৎ ইন্টারনেট উৎসব
শেষ হলো দেশের সর্ববৃহৎ ইন্টারনেট উৎসব ‘বাংলাদেশ ইন্টারনেট সপ্তাহ ২০১৫’। শুক্রবার সিলেটের রিকাবি বাজারের সিটি ইনডোর স্টেডিয়ামে জমকালো উৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ‘বাংলাদেশ ইন্টারনেট সপ্তাহ ২০১৫’।
আয়োজকদের দাবি- এই উৎসবের মধ্য দিয়ে সারাদেশে ১ কোটি ২২ লাখের অধিক মানুষকে ইন্টারনেট প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করা সম্ভব হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং গ্রামীণফোনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয় ‘বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক ২০১৫’।
উদ্যোগের অংশ হিসেবে ঢাকায় একটি বড় উৎসব, তিনটি বিভাগীয় শহরে বড় ১টি করে উৎসব ও ৪৮৭টি উপজেলায় নানা আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার সিলেটে আয়োজিত বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইকের সফল সমাপ্তি ঘোষণা করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, আমরা শতভাগ সফল হয়েছি। পৃথিবীর ইতিহাসে একযোগে সারা দেশে তথ্য প্রযুক্তির এত আয়োজন এই প্রথম। দেশের তরুণ সমাজকে একই কাতারে সংঘবদ্ধ করা সম্ভব হয়েছে। এই সফলতার জন্যে তিনি সংশ্লিষ্ঠ সকলকে আন্তরিক ধন্যবাধ জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ডাক টেলিযোগাযোগ তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দীন কামরান, বেসিসের সভাপতি শামীম আহসান ও গ্রামীণফোনের পরিচালক (বিপণন) নেহাল আহমেদ।
সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদিন, বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক ২০১৫ এর আহ্বায়ক রাসেল টি. আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, তিনটি বিভাগীয় শহরে বড় ৩টি উৎসব এবং ৪৮৭টি উপজেলা ১টি করে উৎসব এবং দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সবমিলে ৫০টি সেমিনার, সোশ্যাল মিডিয়া ও টেলিভিশন টক-শোর মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে ১ কোটি ২২ লাখেরও অধিক মানুষ।
আরএম/এসএইচএস/আরআইপি