ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

ফণীতে ব্যাহত নেটওয়ার্ক সচলে ব্যস্ত গ্রামীণফোন কর্মীরা

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৬:৫৫ পিএম, ০৪ মে ২০১৯

ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ব্যাহত নেটওয়ার্কব্যবস্থা সচল রাখতে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিভাগের কর্মীরা। একই সঙ্গে ফণীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত যোগাযোগব্যবস্থা পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যে সরকার, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করছে গ্রামীণফোন। এই যৌথ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নেটওয়ার্কের অবকাঠামো ঠিক করে দেশব্যাপী যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা।

শনিবার গ্রামীণফোনের জনসংযোগ শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. হাসান প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বেশিরভাগ এলাকায় ফণী আঘাত হানে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল এবং চট্টগ্রামে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গ্রামীণফোনের কর্মীরা মাঠপর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করছেন। পূর্বপ্রস্তুতি থাকায় গ্রামীণফোনের কর্মীরা মূল নেটওয়ার্ক সচল রেখেছে। এখনও বাণিজ্যিক বিদুৎ না থাকায় বিকল্প ব্যবস্থায় নেটওয়ার্ক চালু রাখার সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণফোনের কর্মীরা।

গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক দলের চলমান প্রয়াস সম্পর্কে গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও এবং সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন, নেটওয়ার্ক দল এই দুর্যোগের মধ্যেও যোগাযোগব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এ জন্য তাদের সাহসিকতাকে ধন্যবাদ জানাই। এক্ষেত্রে তাদের পূর্বপ্রস্তুতি একটি বিশাল ভূমিকা পালন করেছে। গত কয়েকদিন ধরে তারা বিরামহীনভাবে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই আমাদের নেটওয়ার্কের স্বাভাবিক হবে।

তিনি বলেন, মোবাইল নেটওয়ার্ক বিদ্যুৎব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল হওয়ার বাণিজ্যিক বিদ্যুৎব্যবস্থা খুব দ্রুত পুনঃস্থাপন দরকার। এ লক্ষ্যে আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছি।

ইয়াসির আজমান আরও বলেন, দুর্যোগের এই সময়ে গ্রাহকদের ধৈর্য ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি বরাবরের মতো দ্রুতই এই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে। একটি উচ্চপর্যায়ের দল সারা দেশের গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কের সার্বিক দেখভাল করছে। নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত সকল কর্মীরা কাজ করে যাবেন।

বিএ/এমএস

আরও পড়ুন