অনুকরণ নয়, উদ্ভাবন করুন : বিপিও সামিটে জয়
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘বিপিও (বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং) ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতি আমার বার্তা হলো-উদ্ভাবন করুন, নতুন প্রযুক্তি খুঁজে বের করুন। কাউকে নকল বা অনুকরণ করবেন না, উদ্ভাবন করুন।’
আজ রোববার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিপিও খাতের অবস্থানকে তুলে ধরতে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ-২০১৯’তে এ মন্তব্য করেন জয়।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিশ্বকে আজ নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা তাদের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতা করতে পারব না। এটা খুবই কঠিন কাজ। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমাদেরও সেটা করতে হবে। আমাদের তথ্য-প্রযুক্তি খাত এখনও খুবই নতুন।’
নিজেরা উদ্ভাবন নিয়ে এগিয়ে যেতে পারলে দেশ দ্রুতই এগিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী তনয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা তথ্যপ্রযুক্তির যাত্রায় আছি। এ যাত্রায় আমরা শিখছি। আমাদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে। এই অভিজ্ঞতার কারণে আজকে দেশ দ্রুত ডিজিটাল হচ্ছে।’
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার উল্লেখ করে জয় বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অর্জনে আমি খুবই গর্বিত। এর অংশীদার হতে পেরেও আমি গর্ববোধ করি। বিশেষ করে এজন্য আরও গর্ববোধ করি যে, আমাদের বিপিও খাতে অনেক তরুণ-তরুণীরা কাজ করছেন। বাংলাদেশে এটা সাধারণত দেখা যায় না। তারা নিজেদের দক্ষতায় এই খাতে কাজ করছেন। তারা প্রচলিত সরকারি চাকরির পেছনে ছুটছেন না।’
সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ আইসিটি সংশ্লিষ্টরা।
চতুর্থবারের মতো বিপিও সামিট আয়োজন করছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং বা বাক্য।
এবারের আয়োজন সফল করতে দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে বাক্য। সামিট থেকে তরুণরা বিপিও খাতে চাকরির সুযোগ পাবেন।
এর আগে ২০১৬ সালে সরাসরি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে এই সম্মেলন থেকে কলসেন্টারসহ বিভিন্ন চাকরি পেয়েছেন ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী। ২০১৫ সালে প্রথম বিপিও সম্মেলন থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়েছিলেন ২৩৫ শিক্ষার্থী।
দুই দিনের আয়োজনে দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, সরকারের নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং বিপিও খাতের সঙ্গে জড়িতরা অংশ নেবেন। প্রদর্শন করা হবে আউটসোর্সিং সেবা। খাতটিতে ২০২১ সালের মধ্যে এক লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
মোট ১২টি সেমিনার ও কর্মশালায় ৪০ জন স্থানীয়, ২০ জন আন্তর্জাতিক বক্তা অংশ নেবেন। আয়োজনের পার্টনার রয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি), বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ) ও বাংলাদেশ ওমেন ইন টেকনোলজি (বিডব্লিউআইটি)।
আরএম/পিডি/এসআর/জেআইএম