লাইসেন্স ছাড়াই চলছে সব রাইড শেয়ারিং
দেশের সব রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স ছাড়াই চলছে। এ বিষয়ে বিআরটিসি নীতিমালা জারি করলেও তা বাস্তবায়নের সাথে বাংলাদেশ পুলিশ, নির্বাচন কমিশন এবং বিটিআরসির সংশ্লিষ্টতা থাকায় এ মুহূর্তে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় সংসদে নাছিমুল আলম চৌধুরীর (কুমিল্লা-৮) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে বিকেল পৌনে ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। এরপর প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপন করা হয়।
প্রসঙ্গত সংসদের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নোত্তর লিখিত হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা আগেই উত্তর দেয়ার পর তা ছাপানো হয়। এজন্য অসুস্থ ওবায়দুল কাদেরকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেয়া হলেও তার প্রশ্নোত্তর পর্বে টেবিলে উত্থাপন করা হয়।
ওবায়দুল কাদেরের কাছে নাছিমুল হক জানতে চান, এটা সত্য কিনা যে, অ্যাপসভিত্তিক পরিবহন সেবায় শর্ত মানছে না কেউ। উবারসহ ১০ প্রতিষ্ঠান চলছে নিবন্ধন ছাড়াই। বিষয়টি সত্য হলে সরকার এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কি না?
উত্তরে মন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা-২০১৭ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। গেজেটটি প্রকাশিত হওয়ার পর ২০১৮ সালের ২২ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১৬টি রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেছে।
নীতিমালার কিছু শর্ত প্রতিপালিত না হওয়ার কারণে এখন পর্যন্ত আবেদনকৃত রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট ইস্যু করা সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে বিআরটিএ কর্তৃক নীতিমালায় শর্ত পূরণ করার জন্য অ্যাপসভিত্তিক রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানসমূহে নির্দেশনা দেয়া হয়।
মন্ত্রী আরও জানান, নীতিমালাটি বাস্তবায়নের সাথে বাংলাদেশ পুলিশ, নির্বাচন কমিশন এবং বিটিআরসি সংশ্লিষ্ট বিধায় এ মুহূর্তে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না।
এইচএস/আরএস/পিআর