দেশে ফোরজি সংযোগ ১ কোটি ১৭ লাখ
মাত্র ১১ মাসের ব্যবধানে দেশে চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) সংযোগ ১ কোটি ১৭ লাখ ছাড়িয়েছে। দেশে চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল সেবা চালুর পর থেকে গ্রাহকদের উচ্চগতির এ নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ বাড়ছে। এদের বেশিরভাগই উচ্চগতির ডেটা ব্যবহারের জন্য ফোরজি সেবা নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশনের (বিটিআরসি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরে ফোরজি সংযোগের সংখ্যা ১ কোটি ছাড়ায়। এ সময়ে থ্রিজি সংযোগ আছে আরও ৬ কোটি ৩৫ লাখ। এক বছর আগেও এ সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৯৩ লাখ। ফোরজি ও থ্রিজি মিলিয়ে দেশে এখন উচ্চগতির মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ দাঁড়াচ্ছে ৭ কোটি ৫২ লাখ। এর বাইরে আরও ১ কোটি ৪ লাখ মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ আছে, যেগুলো এখনও টুজি সংযোগ ব্যবহার করছে।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ফোরজির লাইসেন্স পায় চারটি মোবাইল ফোন অপারেটর। এরপর থেকেই সেবা দেয়া শুরু করে তিন অপারেটর। গত ১০ মাসের কিছু বেশি সময় নেটওয়ার্ক বাড়ানো এবং গ্রাহক সংগ্রহের কাজ জোরেশোরে করছে অপারেটরগুলো। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটক ১৬ ডিসেম্বরে থেকে রাজধানীতে খুবই সীমিত পরিসরে ফোরজি সেবা দেয়া শুরু করেছে।
অপারেটর সূত্রে জানা গেছে, ফোরজি গ্রাহকের দিক দিয়ে বড় দুই অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি নেতৃত্ব দিচ্ছে। নভেম্বরে গ্রামীণফোন ঘোষণা দেয় তাদের ফোরজি গ্রাহক ৫০ লাখ পেরিয়েছে। একদিন পরে রবিও একই মাইলফলক অর্জনের কথা জানায়।
বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহরুল হক জানান, ফোরজি দিয়ে তারা টেলিকম সেবায় নতুন এক মাত্রা নিয়ে এসেছেন। সামনের দিনে উচ্চগতির এই মোবাইল ইন্টারনেটই গোটা দেশের ইন্টারনেট খাতকে নিয়ন্ত্রণ করবে।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহাতাব উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, তারা এখন ফোরজিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং তাদের ফোরজি সংযোগ ৬০ লাখ। সবচেয়ে বড় ফোরজি নেটওয়ার্কের মালিকও এখন তারা বলে দাবি করেন তিনি। বাংলালিংক অবশ্য কখনই ১২ লাখের বেশি ফোরজি সংযোগের দাবি করেনি।
আরএম/এসআর/এমকেএইচ