‘উন্নয়নশীল দেশ হতে প্রয়োজন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি’
লুব্রিক্যান্টস ও ট্রান্সফর্মার অয়েল উৎপাদনে ‘ন্যানো’ ও ‘নিনাস’ নামের পরিবেশবান্ধব নতুন দুটি প্রযুক্তি উদ্বোধন করেছে লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড। প্রযুক্তি দুটি ট্রান্সফার্মার ও ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম। এ প্রযুক্তির ব্যবহার বাংলাদেশে এই প্রথম।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড আয়োজিত ‘বাংলাদেশের লুব্রিক্যান্ট এবং বিদ্যুৎ খাতে সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি’ বিষয়ক এক সেমিনারে এর উদ্বোধন করা হয়।
লুব-রেফ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ন্যানো প্রযুক্তি ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও লুব্রিকোন্স পদ্ধতির নির্গমন কমায়। ফলে এটি পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী। অন্যদিকে নিনাস টেকনোলজি ট্রান্সফার্মারের তেল ব্যবহার করা হয়, যা পরিবেশবান্ধব। কারণ, এটি নিম্ন তাপমাত্রা তৈরি করে। নিনাস সুইডেন ও ন্যানো টেকনোলজি ফিনল্যান্ডের কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশে লুব-রেফ সংযোজন করেছে। প্রযুক্তি দুটি বাংলাদেশে এই প্রথম এসেছে।
লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি সুইডেনের অ্যাম্বাসেডর চারলোটা স্কালাইটার, বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ইজাজ হোসাইন প্রমুখ।
লুব-রেফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, দেশে শিল্পকারখার স্থাপনের হার বাড়ছে। তাই এ খাতের চাহিদার কথা বিবেচনা করে নতুন প্রযুক্তি দুটি নিয়ে এসেছি। এটি পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী, যা ৫০ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।
তিনি জানান, পেট্রোকেমিক্যাল ও লুব্রিক্যান্ট শিল্পে তাদের প্রায় চার দশকের অভিজ্ঞতা। স্থানীয় প্লান্টে বিশ্বমানের লুব্রিক্যান্ট প্রস্তুত করে এরই মধ্যে বাজারের আস্থা অর্জন করেছে লুব-রেফের ব্র্যান্ড বিএনও। এরই ধারাবাহিকতায় পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো অটোমোটিভ, সিমেন্ট, টেক্সটাইল, স্টিল, পেট্টোকেমিক্যাল, ফার্মাসিটিউক্যালস, এগ্রিকালচার, ইন্জিনিয়ারিং কোম্পানি, ফিলিট অর্নার এবং অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি সমন্বিত পণ্য উৎপাদন।
বিডার চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান উৎপাদন ও চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এ সংক্রান্ত লুব অয়েলের চাহিদা বাড়ছে। দেশের অর্থনীতির বিকাশের কারণে যে কোনো ধরনের পণ্যের চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। লুব অয়েল তাদের ন্যায় একটি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্রমেই বিকাশ হচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে এ দেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। এর জন্য সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন- সেটা হলো পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির।
এমএএস/জেডএ/পিআর