ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

তরুণদের জন্য হচ্ছে আর্ন অ্যান্ড পে প্রকল্প

প্রকাশিত: ১০:৪৫ এএম, ১৯ আগস্ট ২০১৫

আইসিটি খাতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি ও তাদের সহায়তা করতে দেশের ৬৪ জেলায় আর্ন অ্যান্ড পে প্রকল্প চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বুধবার মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনের এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে ৬৪ জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভিডিও কনফারেন্সে নেটওয়ার্কিং কার্যক্রম উদ্বোধন কালে তিনি এ কথা বলেন।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহ-সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম, এখনি ডটকমের সত্বাধিকারী শামীম আহসান, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালকবৃন্দ, এফবিসিসিআইয়ের অধিভুক্ত জেলা চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জুনাইদ আহমেদ জানান, আর্ন অ্যান্ড পে প্রকল্পের আওতায় ১০ লাখ নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে। এছাড়াও যেসব উদ্যোক্তার মেধা আছে কিন্তু পুঁজি নেই তাদের  সিঙ্গেল ডিজিটে ব্যাংক ঋণ সুবিধাসহ কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগসহ অন্যান্য সুবিধা  প্রদান করা হবে।  

তিনি বলেন, এ প্রকল্প  হলে ২০২১ সাল্যে আইসিটি খাত থেকে মূল জিডিপিতে অংশগ্রহণ হবে ১ শতাংশ। একই সঙ্গে আইসিটি খাতে রফতানি আয় এক বিলিয়ন ডলারে উন্নিত করা সম্ভব হবে।

দেশের আইসিটি খাত এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালের পূর্বে যেখানে আইসিটি খাতে রফতানি আয় ছিল ২০ মিলিয়ন ডলার । বর্তমানে এ আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩শ মিলিয়ন ডলার।

আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, যথাযত তথ্য প্রদান ও যোগাযোগের অভাবে জেলা চেম্বার গুলোর উন্নায়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।  এ উদ্যোগের ফলে ৬৪ জেলাকে একই ছাতার নিচে আনা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে জেলা চেম্বর গুলোর বিভিন্ন সমস্যা ও তাদের উদ্যোগগুলো এফবিসিসিইকে জানাতে পারবে। তাদের সময় ও টাকা ব্যয় করে ঢাকা আসতে হবে না।

তিনি বলেন, এ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়বে। ফলে নিজেদের নতুন নতুন আইডিয়া শেয়ার করতে পারবে। এতে দেশে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়বে। পাশাপাশি রফতানি আয় দ্বিগুণ হবে।

অনুষ্ঠানে অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বলেন,  দেশের সব ডাকঘর গুলোকে ই-সেন্ট্রলাইজ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ভিডিও কনফােেন্সর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যে হাই স্পিড ইন্টানেট প্রয়োজন তা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে ৬৪ জেলায় পৌছে দেওয়া হবে।  

এসআই/এসকেডি/এমআরআই