এবার মহাকাশেই জন্ম নেবে শিশু!
বড় জোর ২০২৪ সাল। ওই সময়ের মধ্যেই মহাকাশে নতুন প্রাণ আলো দেখবে। স্পেস স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হবে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে আর তারপর সেখানেই জন্ম নেবে শিশু-এমনটাই বলছেন বিজ্ঞানীরা। আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৬ ঘণ্টার এই অভিযানে সঙ্গে থাকবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দল। পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০৩ কিলোমিটার ওপরে জন্ম নেবে শিশু। ‘স্পেসলাইফ অরিজিন’ নামে একটি সংস্থার মাধ্যমে নেদারল্যান্ডসের একদল বিজ্ঞানী স্বেচ্ছাসেবী খুঁজছেন, যিনি মহাকাশে সন্তানের জন্ম দিতে ইচ্ছুক। তবে সেক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবীদের পৃথিবীতে দুজন সুস্থ সন্তানের জন্ম দেয়ার রেকর্ড থাকতে হবে।
এই অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে ‘মিশন ক্রেডল’। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘স্মল স্টেপ ফর এ বেবি’, ‘জায়ান্ট বেবি স্টেপ ফর ম্যানকাইন্ড’। মহাকাশে মানবজাতির উপনিবেশ গড়ে তোলাই লক্ষ্য এই বিজ্ঞানীদের।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, অন্তঃসত্ত্বাকে এক্ষেত্রে স্বাভাবিক মহাকর্ষীয় বলের বাইরে রাখা হবে। ২৫ জন অংশগ্রহণকারীকে মহাকাশে নিয়ে যাওয়া হবে, যাতে দুদিনের অভিযানে কোনো না কোনো শিশু জন্ম নেয়। ভ্রূণের বয়স সাড়ে আট মাস হলে তবেই হবু মাকে মহাকাশে পাঠানো হবে, তার আগে নয়।
এজন্য প্রথমে স্পেস স্টিমুলেটরে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের মেডিক্যাল স্ক্রিনিং করা হবে। অসুস্থ হয়ে পড়লে কী করা হবে, সেই প্রস্তুতিও নেয়া থাকবে। ২০২২ সালে এই নির্বাচন পর্ব শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। মূলত আইভিএফ পদ্ধতির সাহায্য নিয়েছেন, এরকম মহিলাদের নিয়ে যাওয়া হবে।
সংস্থার সিইও কেইস মুল্ডার বলেন, মহাকাশে কীভাবে ভূমিষ্ঠ হবে শিশু, তা শিখতে হবে মানবজাতির স্বার্থেই। অন্যদেশের মহাকাশ সংস্থাকেও এই প্রকল্পে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
২০২১ সালে মিশন লোটাসে একটি ইনকিউবেটর নিয়ে যাওয়া হবে মহাকাশে, সেখানে থাকবে ‘স্পার্ম ও এগস’। ভ্রুণ গঠন হলেই তা আবার ফিরিয়ে আনা হবে সেক্ষেত্রে ইনকিউবেটরে থাকবে স্বাভাবিক মহাকর্ষ। সেভাবেই তৈরি করা হবে প্রযুক্তি যাতে ভ্রূণ ভারহীনতায় না ভোগে।
পরবর্তীতে মহাকাশেই স্বাভাবিক পদ্ধতিতে যুগল যাতে সন্তান ধারণ করতে পারে, সেটিও দেখা হবে এর মাধ্যমে। ২০২০ সালে ‘সিডস অব লাইফ টিউবস’-এ আর্ক অভিযানে সঞ্চিত রাখা হবে মানব দেহের জননকোষ। গবেষণা চলছে তা নিয়েও।
এসআর/পিআর