বেসিস নির্বাচন সচিবালয়ের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। সংগঠনটির ২০১৮-১৯ সেশনের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার সময় ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। তবে সংগঠনটির নির্বাচন সচিবালয় এখনো মনোনয়নপত্র বিক্রি ও জমা নিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
শনিবার বেসিস নির্বাচন কমিশন চেয়ারম্যান বরাবর এ অভিযোগপত্র দিয়েছেন সফট পার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং আসন্ন নির্বাচনে অ্যাসোসিয়েট ক্যাটাগরির পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেন ফারুক।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ‘আমি বেসিস নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত সময় সীমার শেষ দিন সকাল সোয়া ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বেসিস সচিবালয়ে অবস্থান করি। বিকেল ৫টায় সচিবালয় ত্যাগ করার মুহূর্তে ফরম বিক্রি ও জমা নেওয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুগ্ধাকে ফরম জমা নেওয়ার সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে তিনি আমাকে অ্যাসোসিয়েট ক্যাটাগরিতে ৫টি ও জেনারেল ক্যাটাগরিতে ৩৪টি ফরম জমা হওয়ার বিষয়টি জানান।’
এ সময় তার সাথে সুটিং স্টার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিদারুল আলম সানী, হাইপারট্যাগ সলিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিউল আলম ও মধুমতি টেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন।
দেলোয়ার হোসেন ফারুক আরও বলেন, ‘আমরা এই তথ্যটি নিয়ে সচিবালয় ত্যাগ করি। এছাড়াও ফরম বিক্রি ও জমা দেওয়ার বিষয় নিয়ে বেসিস সচিবালয়ের সচিব হাশিম সাহেবের সাথেও আমার বহুবার কথা হয়। আগের বিভিন্ন সময়ে হাশিম সাহেব থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও বিকেল ৫টায় বের হয়ে যাওয়ার সময়ের সর্বশেষ তথ্যের সাথে হুবহু মিল আছে। কিন্তু সন্ধ্যা ৬টায় বেসিস সচিবালয় থেকে অ্যাসোসিয়েট ক্যাটাগরিতে ৬টি এবং জেনারেল ক্যাটাগরিতে ৩৪টি মনোনয়ন জমা হওয়ায় বিষয়টি জানায়।’
‘উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে আমি সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করছি যে, অ্যাসোসিয়েট ক্যাটাগরিতে ৬ নম্বর মনোনয়ন ফরম নিয়ে যিনি প্রার্থী হয়েছেন তিনি বেসিসের সাবেক সভাপতি হিসাবে সম্পূর্ণভাবে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে বেসিস সচিবালয়ের যোগসাজসে নির্দিষ্ট সময়ের পরও ফরম কিনেছেন ও জমা দিয়েছেন।’
সব শেষে দেলোয়ার হোসেন ফারুক লিখেন, ‘উপরোক্ত বিষয়াদি পর্যালোচনা করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে বিধি মোতাবেক ৬ নম্বর মনোনয়ন ফরমের প্রার্থী ‘আজকেরডিল’-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম মাশরুরের মনোনয়নপত্র বাতিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।’
আরএম/আরএস/এমএস