ফোর-জি সিম রিপ্লেসমেন্টে ভ্যাট প্রত্যাহারে স্মারকলিপি
ফোর-জি সিম রিপ্লেসমেন্টে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
রোববার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে এ স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটি।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ স্মারকলিপি প্রদানের বিষয়টি জাগো নিউজকে জানিয়েছেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে প্রযুক্তি বান্ধব ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ থেকে চতুর্থ প্রজন্মের দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা চালু করার জন্য ৪টি মুঠোফোন অপারেটরকে ফোর-জি লাইসেন্স প্রদান করেছে। আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী পিছিয়ে পড়া দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১২২তম। ইন্টারেনেট ডেটার দামও এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। এত প্রতিবন্ধকতার পরেও আমরা এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি। চুতর্থ প্রজন্মের সেবা পেতে পূর্বের ২-জি ও ৩- জি সিমগুলিকে পূর্বের নাম্বার বহাল রেখে রিপ্লেসমেন্ট করতে অপারেটররা ১১০ টাকা কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১২০ টাকাও আদায় করছে।
এতে আরও বলা হয়, আমরা জানতে পেরেছি যে, এক্ষেত্রে রাজস্ব বিভাগ ১০০ টাকা ভ্যাট ধার্য করেছে। পূর্বে যখন এমএনপি (নাম্বার অব পোর্টাবিলিটি) বা নাম্বার অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর পরিবর্তনে ক্ষেত্রে আপনারা ভ্যাট নির্ধারণ করেছেন ৩০ টাকা। অথচ ৪-জি রিপ্লেসমেন্টের ক্ষেত্রে সামান্য প্রযুক্তির পরিবর্তনের একই নাম্বার একই অপারেটর থাকা সত্ত্বেও কী কারণে ১০০ টাকা ভ্যাট আদায় করা হবে তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। ইতোমধ্যেই দেশের জনগণ এনবিআরকে দোষারোপ করছে। এ ভ্যাট আদায় থেকে হয়তোবা সরকার ৭ থেকে ৮শ' কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পারবে। কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথ অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়বে।
এএস/এমবিআর/আরআইপি