ফোরজির আনুষ্ঠানিক যাত্রা রবি-এয়ারটেলের
লাইসেন্স পাওয়ার পরদিনই ফোরজি সেবার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে রবি-এয়ারটেল। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মঙ্গলবার এক বর্নাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে যাত্রা শুরু করেছে একীভূত হওয়া প্রতিষ্ঠানটি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এ সময় বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, ডাক, টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদারসহ রবি-এয়ারটেলের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, সোমবার ফোরজির যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। আশা করি রবিসহ সব মোবাইল অপারেটর গ্রাহকদের সৃবিধাকে প্রাধান্য দেবে।
তিনি বলেন, টেলিকম অপারেটরদের সেবার মান আরও বাড়াতে হবে। নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ়তর করতে উন্নত গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটককে দেশে ফোরজি নেটওয়ার্ক চালুর লাইসেন্স প্রদান করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
উল্লেখ্য, বিটিআরসি গত সপ্তাহে ঢাকায় নিলামের মাধ্যমে ফোরজি তরঙ্গ বরাদ্ধ দেয়।নিলামে অংশ নেয় গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক। গ্রামীণফোন নিলামে ১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ৫ মেগাহার্জ তরঙ্গ কেনে। এর মাধ্যমে গ্রামীণফোনের এখন তরঙ্গের পরিমাণ ৩৭ মেগাহার্জ।
অপরদিকে নিলামে বাংলালিংক ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ৫ মেগাহার্জ এবং ১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ৫.৬ মেগাহার্জ তরঙ্গ কেনে। ফলে অপারেটরটির এখন মোট তরঙ্গের পরিমাণ ৩০.৬ মেগাহার্জ।
নিলামে রবি ও টেলিটক অংশ না নিলেও তাদের টুজি ও থ্রিজি ব্যান্ডে যে তরঙ্গ রয়েছে তা ফোরজি নেটওয়ার্ক বিস্তারে ব্যয় করতে পারবে। সম্প্রতি বিটিআরসি নতুন এক নির্দেশনায় অপারেটরগুলোকে টেক নিউট্রালিটি দিয়েছে। ফলে অপারটরগুলোর অব্যবহৃত বিভিন্ন ব্যান্ডের তরঙ্গ ফোরজিতে ব্যবহারে বাধা নেই।
আর রবি ও এয়ারটেল একীভূত হওয়ার ফলে তাদের তরঙ্গও একীভূত হয়েছে। রবির এখন মোট তরঙ্গের পরিমাণ ৩৬.৪। আর টেলিটকের তরঙ্গ আছে ২৫.২ মেগাহার্জ।
আরএম/এমএমজেড/পিআর