টেলিকম ডিভিশনের ভেতরে ক্যান্সার : মোস্তাফা জব্বার
আমি যতটুকু জানতাম, আমাদের সরকারের আইটি রিলেটেড এরিয়াতে তার চেয়ে হাজারগুণ বেশি সমস্যা আছে। আমি ধারণা করতে পারিনি যে, টেলিকম ডিভিশনের ভেতরে ক্যান্সারের মতো সমস্যা বিরাজ করে এবং তা সমাধান করার জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। আমার নিজের কাছে এটি খুব দুর্ভাগ্যজনক মনে হয়েছে। আমরা কানাগলির ভেতরে বসে আছি।
বুধবার বিকেলে বেসিসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মন্ত্রী বলেন, আমার দেশকে ডিজিটালে রূপান্তর করা আমার অধিকার। এটা আমাকে দয়া করে কেউ দেবে না। আমার মন্ত্রণালয়ে এসে বিদেশি প্রতিষ্ঠান কোনো একতরফা কাজ করবে সেটা প্রশ্নই আসে না।
বাংলা ভাষার ব্যবহার নিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমি ইংরেজিবিরোধী না। আমার ইংরেজি চর্চাও দরকার। বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে ইংরেজি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোনো বিদেশির সঙ্গে তো আমি বাংলা বলি না। আমাকে জাপানে ব্যবসা করতে হলে জাপানি ভাষা জানতে হবে। কোরিয়ায় ব্যবসা করতে হলে কোরিয়ান ভাষা জানতে হবে। সে ভাষায় কথা বলতে পারলে আমার ব্যবসার ভালো হবে। আমার দেশের ১৬ কোটি মানুষের ৯৬ ভাগ ইংরেজি বোঝে না। তাদের কাছে বাংলা কনটেন্ট ছাড়া উপায় নেই।
বিটিআরসি প্রসঙ্গে মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিগগিরই আমি বিটিআরসির সঙ্গে বসবো। তাদের সমস্যাটা কোথায় সেটা শুনতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উদ্যোগ নেবো। বিটিআরসি চেয়ারম্যান ফোন দিয়েছিলেন। তাকে বলেছি প্রথম দিন আমাকে ছাত্র হিসেবে নেবেন, পরে কিন্তু আমি শিক্ষক হবো।
বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানের অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেসিসের সাবেক সভাপতি এ তৌহিদ, এস এম কামাল, হাবিবুল্লাহ এন করিম, সারওয়ার আলম, রফিকুল ইসলাম রাওলি, মাহবুব জামান, একেএম ফাহিম মাসরুর, শামীম আহসান এবং বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে ফুল এবং ক্রেস্ট দিয়ে মন্ত্রী ও বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বারকে শুভেচ্ছা জানান বেসিস কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যবৃন্দ, বেসিস সচিবালয়, বিআইটিএমসহ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এএ/বিএ