ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

‘সাইবার অ্যালার্ট সিস্টেম’ নির্মাণের প্রস্তাব

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:২২ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭

সাইবার নিরাপত্তায় সবার আগে অবকাঠামো উন্নয়ন ও খসড়া নীতিমালা দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রীয়ভাবে ‘সাইবার অ্যালার্ট সিস্টেম’ নির্মাণের প্রস্তাব দিয়ে তারা বলছেন, এই সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান, সরকার ও রেগুলেটরি কমিশনগুলো যেন এই সিস্টেম ব্যবহারের সুযোগ পায়, যেন কোনো সাইবার অ্যাটাকের হুমকি পেলেই তৎক্ষণাৎ একটি অ্যাকশন নেয়া যায়।

তথ্যপ্রযুক্তি আসর ডিজিটাল ওয়াল্ডের তৃতীয় দিনের আসরে ‘সাইবার সিকিউরিটি ফর পাবলিক সার্ভিস’ শিরোনামে এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এই পরামর্শ দেন।

সেমিনারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ টু আই প্রকল্পের আইটি ম্যানেজার মোহাম্মদ আরফি এলাহীর সঞ্চালনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক দেব দুলাল রায়, বাংলাদেশ পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল হারুন অর রশিদ, সিটিও ফোরামের প্রেসিডেন্ট তপন কান্তি সরকার, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের (সিনিসি) আইটি বিভাগের প্রধান ইজাজুল হক।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের হুজটন কোম্পানির সিনিয়র আইটি এক্সিকিউটিভ আজাদুল হক।

আজাদুল হক শুরুতে বলেন, ‘হ্যাকাররা প্রতি মুহূর্তে অপেক্ষায় থাকে কখন গোটা একটা দেশের সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেবে। যত আইন করুন না কেন, কড়াকড়ি প্রয়োগ করুন, কোনো কাজ হবে না। হ্যাকাররা অতটা বোকা নয়, ওরাও যথেষ্ট মেধা নিয়ে কাজ করে। তাদের ঠেকাতে হলে ব্যক্তিগত, প্রাতিষ্ঠানিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সাইবার নিরাপত্তার অবকাঠামোগুলো আরো বেশি উন্নত করতে হবে। সাইবার নিরাপত্তার আইনি কাঠামোতেও আনতে হবে পরিবর্তন।

বাংলাদেশ পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল হারুন অর রশিদ জানান, বিশ্বজুড়ে ট্রান্স-নেশন সাইবার ক্রাইম মোকাবেলায় আইনি কার্যক্রম নিতে গেলে নানা দেশের আইনি জটিলতার মুখে পুলিশ অনেক সময়ই সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। আইনের ফাঁক-ফোকর গলে পার পেয়ে যায় হ্যাকার।

‘ফায়ার আই সাইবার থ্রেট ম্যাপ’- এর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও টেক জায়ান্টগুলো হ্যাকিংয়ের শিকার হয়ে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তার একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, হ্যাকিংয়ের শিকার হয়ে সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহু দুই বিলিয়ন খরচ করেছে। অন্যদিকে উবার তাদের সাইট হ্যাক হওয়া ঠেকাতে এক লাখ ডলার ব্যয় করেছে।

‘সোফিটিকেটেড’ হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যারের ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে তিনি ব্যক্তিগত পর্যায়ের গ্রাহকদের তাদের কম্পিউটার সিস্টেম নিয়মিত ‘ক্লিন’ করার পরামর্শ দেন।

আরএম/জেডএ/এমএস

আরও পড়ুন