বাংলাদেশ ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। এজন্য ৪র্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে এখন কথা বলার সময় এসেছে। কারণ দ্রুত বদলে যাওয়া প্রযুক্তি মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনছে। ফলে অর্থনীতির বিকাশ ও শিল্পায়নও দ্রুত ঘটছে।
২০২৫ সালের মধ্যেই ন্যানোম্যাটেরিয়ালের বাণিজ্যিক ব্যবহার দেখা যাবে। এসব ন্যানোম্যাটেরিয়াল স্টিলের চেয়েও ২০০ গুণ শক্ত কিন্তু চুলের চেয়েও পাতলা। থ্রিডি প্রিন্টেড লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হবে। ১০ শতাংশের বেশি গাড়ি হবে চালকহীন। সরকার, ব্যবসা ও সাধারণ মানুষের জীবনেও এর প্রভাব দেখা যাবে। আগামীর বাংলাদেশ পৃথিবীর এসব উন্নত প্রযুক্তিগুলোকে গ্রহণের মাধ্যমে এগিয়ে যাবে।
চার দিনব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির মহাসম্মিলন ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড–২০১৭’ এর দ্বিতীয় দিন সকালে গ্লোবাল কনসান্টিং গ্রুপের জারফ মুনিরের সঞ্চালনায় এ কনফারেন্সে কি-নোট উপস্থাপন করে তিনি এসব কথা বলেন।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, সরকার বেসরকারি খাতকে সঙ্গে নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে কাজ করেছে। জনগণ তথ্যপ্রযুক্তির সুফলও ভোগ করছে। ফলে বাংলাদেশে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণ। এ ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডেই আপনারা দেখেছেন ড্রোন, বিশ্বের উন্নত রোবট সোফিয়াকে।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে মোবাইল সুপারকম্পিউটিং, চালকহীন গাড়ি, কৃত্রিম বুদ্ধিমান রোবট, নিউরো প্রযুক্তির ব্রেন, জেনেটিক এডিটিং দেখতে পাবে। প্রযুক্তির এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষের জন্য আমাদেরকে উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে হবে।
কনফারেন্সে ভুটানের তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী দিনা নাথ ডঙ্গায়েল, মালদ্বীপের সশস্ত্র ও জাতীয় নিরাপত্তা উপমন্ত্রী থরিক আলী লুথুফি, ফিলিপাইনের আইসিটি অধিদফতরের পরিচালক নেস্টর এস বোঙ্গাটা, সৌদি আরবের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান ও মন্ত্রীর উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাহাদ আলীআরাল্লাহ অংশ নেন।
আরএম/এমআরএম/আইআই