‘মুক্তি’ ও ‘মেক দেম স্ট্রং’ যাচ্ছে ওসলোর টেলিনর ইয়ুথ ফোরামে
নারীর নিরাপত্তা ও শরণার্থীদের শিক্ষা বিষয়ক ধারণা নিয়ে ওসলোর টেলিনর ইয়ুথ ফোরামে যাবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। এরা হলেন মিয়া মো খেইং ও রাকিব রহমান শাওন।
আগামী ডিসেম্বরে নরওয়ের অসলোতে অনুষ্ঠিতব্য বৈশ্বিক অনুষ্ঠানে তারা এই ধারণা উপস্থাপন করবেন।
নোবেল পিস সেন্টার (এনপিসি) ও টেলিনর গ্রুপ আয়োজিত ইয়ুথ ফোরাম ১৩টি দেশের ১৮ থেকে ২৮ বছরের তরুণ-তরুণীদের জীবন বদলানো ধারণা উপস্থাপনের সুযোগ দেয়। ফোরামের মূলভাব ‘শান্তির জন্য ডিজিটালকরণ।’
গ্রামীণফোনের আয়োজনে বাংলাদেশে এর চূড়ান্ত নির্বাচনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয় ২৪ সেপ্টেম্বর। এ বছর ১৪০০-এর বেশি তরুণ এই কর্মসূচীতে অংশ নেয়ার জন্য আবেদন করেন।
চলতি বছরের বিজয়ী ধারণাগুলো হচ্ছে ‘মুক্তি’ এবং ‘মেক দেম স্ট্রং’।
কঠোর বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে নির্বাচিত ৭ জন প্রতিযোগী গ্রামীণফোন কর্মকর্তা এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারক প্যানেলের সামনে নিজেদের ধারণা উপস্থাপন করেন।
এর মধ্যে থেকে দুই জনকে ডিসেম্বর মাসের ৮ থেকে ১১ তারিখে অসলোতে অনুষ্ঠিতব্য চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচন করা হয়। সে সময় অসলোতে নোবেল শান্তি পুরষ্কারও দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিসেল ব্লেকেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, স্থানীয় উদ্যোক্তা, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং গ্রামীণফোনের সিইওসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের প্ল্যাটফর্ম থেকে শেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, অনুষ্ঠানে যেসব অসাধারণ ধারণা উপস্থাপিত হয়েছে তা আমাকে উজ্জীবিত করেছে। কারণ, এর সবগুলোই বাংলাদেশকে আরও ভালো একটি দেশে পরিণত করার ইচ্ছা প্রকাশ করছে।
আরএম/এমএমজেড/এনএফ/আইআই