ফেসবুকে স্ট্যাটাস : গ্রামীণফোনের প্রকৌশলী চাকরিচ্যুত
ফেসবুক স্ট্যাটাসে গ্রামীণফোনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কবিতা পোস্ট দেয়ায় এক প্রকৌশলীকে চাকরিচ্যুত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রযুক্তি ও কারিগরি বিভাগের সিনিয়র সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ কামরুজ্জামানকে গত ১৮ জুলাই চূড়ান্ত বরখাস্তের চিঠি দেয় গ্রামীণফোন। প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ইয়াসির মাহমুদ খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে কোম্পানির নির্বাহী পরিচালকদের ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারদের নামে অপপ্রচারের অভিযোগ আনা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামীণফোনের এক ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা বলেন, ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে চাকরিচ্যুতির মতো পদক্ষেপ নেয়া যায় না। এছাড়া চাকরিচ্যুতের নোটিশে স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে ২০১৫ সালে করা ফেসবুক কমেন্টসের বিষয়টিও রেফারেন্স হিসেবে আনা উদ্দেশ্যমূলক কিনা-তা ভাবনার বিষয়।
তবে কামরুজ্জামানের দাবি তাকে ‘অন্যায় ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে’ চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
তার অভিযোগ, চূড়ান্ত শুনানিতে তার দুজন প্রতিনিধির মতামতকেও উপেক্ষা করেছে গ্রামীণফোন।
চাকরিচ্যুতির চিঠিতে বলা হয়, আগেও আপনার বিরুদ্ধে গ্রামীণফোন ও এর কর্মীদের, বিশেষত সহকর্মীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।বর্ণিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আপনাকে বিগত ৭ জুন ২০১৫ ও ৭ আগস্ট ২০১৬ পৃথক দুটি কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছিল।
চাকরিচ্যুতির ব্যাখ্যায় চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বব্যাপি টেলিনরের ১৩ দেশের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক ওয়ার্কে কোম্পানির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে গুরুতর অসদাচরণ করেছেন। এ ছাড়া নিয়মিতভাবে আপনার পোস্টে ছবি কাটাছেঁড়া করে এর সঙ্গে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্বাহী পরিচালক ও অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মানহানির চেষ্টা করছেন।
গ্রামীণফোন অ্যামপ্লয়িজ ইউনিয়ন বা জিপিইইউর (প্রস্তাবিত) সভাপতি ফজলুল হক বলেন, ফেসবুকে স্ট্যাটাসের কারণে চাকরিচ্যুতি হতে পারে না। ইউনিয়ন তার সদস্যদের বিরুদ্ধে এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করছে। সামনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
আরএম/এএইচ/পিআর