হুয়াওয়ে পি-১০ মেমোরি স্ক্যান্ডাল
চীনা মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি হুয়াওয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে তাদের নতুন স্মার্টফোন পি-১০ এবং পি-১০ প্লাস-এর বিভিন্ন ফ্ল্যাশ মেমোরির গতি নিয়ে কিছু ব্যবহারকারীর তথ্য এসেছিলো। এতে কিছু ব্যবহারকারী ইউএফএস ২.১ রিড অ্যান্ড রাইট স্পিড, কিছু ইউএফএস ২.০ স্পিড এবং কেউ কেউ ইএমএমসি ৫.১ স্পিড পাচ্ছিলেন।
পরবর্তীতে হুয়াওয়ে এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, মেমোরিগুলো বিভিন্ন সরবরাহকারীর কাছ থেকে নেয়া হয়েছে এবং তারা মান নিশ্চিত করেছে কিনা সেজন্য সেগুলো পরীক্ষাও করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তার ওয়েইবো অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেছেন যে, সাপ্লাই স্বল্পতার কারণে কিছু ইউনিটে ইএমএমসি ফ্ল্যাশ মেমোরি ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, ইউএফএস ২.১ সমৃদ্ধ হুয়াওয়ে মেট ৯ এবং ইএমএমসি ৫.১ সমৃদ্ধ হুয়াওয়ে পি১০ ব্যবহার করে তিনি কার্য ক্ষমতার কোনো পার্থক্য খুঁজে পাননি।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে মেট ৯ পেজে হুয়াওয়ে তথ্যের সংশোধন করেছে এবং এই ডিভাইসটিতে ইউএফএস ২.১ স্টোরেজ-এর অংশটি মুছে ফেলা হয়েছে। যখন হুয়াওয়ে পি-১০ এবং পি-১০ প্লাস নিয়ে প্রশ্ন চলমান তখন মেট৯ পেজ কেন সংশোধন করা হলো? এতে কি এটা বোঝায় যে, মেট ৯ এর কিছু ইউনিট আছে যাতে ইউএফএস ২.১ ফ্ল্যাশ মেমোরি ব্যবহার করা হয়নি? অথবা মেট ৯ এর কিছু ইউনিট এর জন্য এটি পূর্ব সর্তকতামূলকভাবে এটি সরানো হয়েছে যেগুলোতে এফইউএস২.১ ফ্ল্যাশ স্টোরেজ ব্যবহার করা হয়নি? প্রমাণ হয়েছে যে ইউএফএস২.০ ফ্ল্যাশ স্টোরেজসহ কিছু ইউনিট রয়েছে এবং একজন টুইটার ব্যবহারকারী (@yao_yunfan) এর প্রমাণ দিয়েছেন।
তথ্য মুছে ফেলা থেকে বোঝা যায়, মেমোরি সংক্রান্ত এই ঘটনা শুধু বিভিন্ন ফ্ল্যাশ মেমোরি ভার্সনে হুয়াওয়ে পি১০ এবং পি১০ প্লাস-এই নয় বরং এটিতে মেট ৯ (৩২ গিগাবাইট এবং ৬৪ গিগাবাইট ভার্সন) এও ঘটেছে। যদিও এক্ষেত্রে, এটি ইউএফএস ২.০ এবং ইএমএমসি ৫.১ নয়। সূত্র : অ্যান্ড্রোয়েড অথরিটি।
কেএ/এআরএস/আরআইপি