ওয়ার্ল্ডটেল’র তরঙ্গ বাতিল
বেসরকারি ল্যান্ডফোন বা পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্ক-পিএসটিএন অপারেটর ওয়ার্ল্ডটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের তরঙ্গ বাতিল করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। কমিশনের সর্বশেষ ২০৩তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ওয়ার্ল্ডটেলের লাইসেন্স ও তরঙ্গ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল আরও অনেক আগেই। বেশ কয়েকবার কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হলেও অপারেটরটি কৌশলে কালক্ষেপণসহ নানা পন্থা নেয়। তবে গত বছরের ২০-২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিটিআরসির ২০১তম কমিশন বৈঠকে ওয়ার্ল্ডটেলের বিষয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, অপারেটরটি ১৯৯৪ সালে দেশের প্রথম বেসরকারি ল্যান্ডফোন অপারেটর হিসেবে লাইসেন্স গ্রহণ করে। ২০০৫ সালে ওয়ার্ল্ডটেলকে ৭ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়া হয় এবং একমাত্র ওয়ার্ল্ডটেলের কাছেই ১৮০০ ব্যান্ডের স্পেকট্রাম আছে, যেটির আর্থিকভাবে মহামূল্যবান।
ল্যান্ডফোনকে ওই সময় বিনা পয়সায় লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। যা এখন নিলাম করা হলে বর্তমান বাজার মূল্য অনুসারে অন্তত দুই হাজার কোটি টাকা আয় করতে পারবে কমিশন। দেশে ১ হাজার ৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে টুজি সেবা দিচ্ছে মোবাইল ফোন অপারেটররা।
অন্যদিকে সামনের দিনগুলোয় ব্যান্ডটিতে প্রযুক্তি নিরপেক্ষ সেবাদানের সুযোগ দিতে নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে। এ নীতিমালার ভিত্তিতে তরঙ্গ নিলামের আয়োজন করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নিলামে ওয়ার্ল্ডটেলের বাতিল হওয়া তরঙ্গ অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ডটেল বাংলাদেশ প্রথম বেসরকারি ল্যান্ডফোন বা পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্ক-পিএসটিএন অপারেটর। দেশে মোবাইল ফোনের মতো ফিক্সড ফোন সেবায় প্রতিযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে বেসরকারি খাতে পিএসটিএন লাইসেন্স দেয়া হয় ২০০৪ সালে। তবে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়া ও অবৈধ ভিওআইপির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগসহ আরও বেশ কিছু কারণে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ১৩ প্রতিষ্ঠানের ১১টিই পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যায়। এসব পিএসটিএন প্রতিষ্ঠানের কাছে সরকারের পাওনা দাঁড়িয়েছে ৩৮ কোটি টাকার বেশি।
আরএম/আরএস