‘পাঠাও’ এর অবৈধ বাণিজ্য
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অনুমোদন ছাড়াই অবৈধ পরিবহন ব্যবসা করছে ‘পাঠাও’ নামের অনলাইন প্রতিষ্ঠান। মোটরসাইকেলে যাত্রী বহনের নামে চলছে জমজমাট বাণিজ্য।
বিআরটিএ বলছে, এ ধরনের ব্যবসা পরিচালনার কোনো সুযোগ নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরু্দ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘পাঠাও’ বিআরটিএ’র কোনো অনুমোদন না নিয়েই মোটরবাইক সার্ভিস চালু করেছে। এ সার্ভিসের মাধ্যমে ভাড়ার বিনিময়ে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। অ্যান্ড্রয়েড প্লে স্টোর থেকে অ্যাপস ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এ সার্ভিসের সুবিধা নেয়া যায়।
২০১৫ সালের ১ অক্টোবর থেকে পাঠাও যাত্রা শুরু করলেও যাত্রী পরিবহন শুরু করে ২০১৬ এর আগস্ট থেকে। ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি শহরে কার্যক্রম চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। নিজের বাইক নিয়ে ‘পাঠাও’র মাধ্যমে বাড়তি উপার্জনের কথা বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইনে চলছে প্রচার-প্রচারণা।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট কিশোআর আহমেদ হাশমি বলেন, বাইক রাইডারদের প্রযুক্তিগত সুবিধা দিচ্ছি। এ সুবিধার মাধ্যমে রাইডাররা ভাড়ার বিনিময়ে যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছে দেন।
পরিবহন এ ব্যবসার কোনো অনুমোদন আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও বিআরটিএ থেকে কোনো অনুমোদন নেয়া হয়নি। তবে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে।
এ বিষয়ে বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক সুব্রত কুমার দেবনাথ জাগো নিউজকে বলেন, বিআরটিএ মোটরবাইক নিবন্ধন দেয় শুধু ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য। এটাকে বাণিজ্যিক বাহন হিসেবে ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি মোটরবাইক ভাড়ায় চালায়; তাহলে তা বেআইনি কাজ। এ ধরনের অভিযোগ আসলে বা প্রমাণ পেলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এছাড়া বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনভিত্তিক জনপ্রিয় ট্যাক্সি সার্ভিস ‘উবারের’ আদলে পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি শহরে নিজেদের ২০০ বাইকসহ সার্ভিসে নামে ‘পাঠাও’। এ সার্ভিসের সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। প্রতি কিলোমিটারের চার্জ ১০ টাকা। প্রতি মিনিট ওয়েটিং চার্জ ৫০ পয়সা। যেখান থেকে বাইকে ওঠা হবে সেখান থেকে ভাড়া শুরু হবে।
এটি মূলত ফ্রি ল্যান্সিং রাইডারদের দিয়ে পরিচালিত হয়। এক্ষেত্রে নির্ধারিত বেতন না দিলেও রাইডের ৮০ শতাংশ টাকা তাদের কমিশন হিসেবে দেয়া হয় বলে ‘পাঠাও’ সূত্রে জানা গেছে।
এসআই/এমএআর/জেআইএম