ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

আবহাওয়া অ্যাপে সাড়া মিলছে

প্রকাশিত: ০৮:৫৪ এএম, ২৩ মার্চ ২০১৭

বায়ুর তাপমাত্রা, আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে, নাকি বৃষ্টি হবে, সাইক্লোন-ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা সংকেত, কৃষি আবহাওয়া, বন্যার ধারা, শৈত্যপ্রবাহ-এসব তথ্য জানতে চায় সবাই। সহজে জনগণের হাতের মুঠোয় অতিপ্রয়োজনীয় এসব তথ্য সরবরাহ করতে গত ডিসেম্বরে ‘বিএমডি ওয়েদার অ্যাপ’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) চালু করে সরকার।

অ্যাপটি ইতোমেধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে। গত দুই মাসের ব্যবধানে প্রায় দশ হাজার মোবাইল ব্যবহারকারী অ্যাপটি ডাউনলোড করেছে বলে আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অ্যাপ (BMD Weather App) নামে অ্যাপসটির মাধ্যমে দেশের যেকোনো জায়গায় বসে আবহাওয়ার সর্বশেষ তথ্য জানা যায়।

গত ২৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে আবহাওয়া বিষয়ক দৈনন্দিন তথ্যসেবাসমূহ মোবাইল প্লাটফর্মে আনতে সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরে এই অ্যাপটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশের ৪২টি স্থানে স্থাপিত স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া যন্ত্রের সঙ্গে এই অ্যাপের মাধ্যমে স্মার্টফোনে সরাসরি সংযোগ স্থাপিত করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের ডপলার রাডার, আবহাওয়া স্যাটেলাইটের সর্বশেষ তথ্য যেকোনো সময়, যে কোনো স্থান থেকে এই অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে পাওয়া যাচ্ছে।

অ্যাপ্লিকেশনটির মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক সর্বশেষ বাতাসের তাপ, চাপ, গতি, বৃষ্টির পরিমাণ ইত্যাদি খুব সহজেই তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া এই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ঘূর্ণিঝড় সর্তকবার্তা, ঝড়ের অবস্থান, তীব্রতা, গতিপথ, কৃষি আবহাওয়া, হাইড্রোলজি, শৈত্যপ্রবাহ ও খরা সম্পর্কিত তথ্য খুব সহজেই মিলছে।

সময়মতো এবং অপেক্ষাকৃত নিখুঁত আবহাওয়া পূর্বাভাস ও সতর্কবার্তা প্রচারের মাধ্যমে নিরাপদ নৌ ও বিমান চলাচলসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র জানায়।

অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করতে মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে প্রথমে গুগল প্লে স্টোরে যেতে হবে। তারপর সার্চ বক্সে (BMD Weather App) লিখলে চলে আসবে বাংলাদেশ আবহাওয়া অ্যাপ। এরপর ইনস্টল করে নিতে হবে অ্যাপটি।

অ্যাপটি প্রসঙ্গে কথা হয় আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ-এর সঙ্গে। তিনি বলেন , এটি একটি জীবনঘনিষ্ঠ অ্যাপ। সাড়া পাচ্ছি বটে। তবে এমন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ অ্যাপের ক্ষেত্রে আরো সাড়া পাওয়া দরকার বলে মনে করি।

এএসএস/এআরএস/জেআইএম

আরও পড়ুন