এ মাসেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসছে সরকার
এ মাসেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসছে বাংলাদেশ সরকার । এ তথ্য জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেছেন, আপত্তিকর কনটেন্ট প্রদানকারীদের চিহ্নিত করতে চলতি মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে শুরু হওয়া সাইবার অপরাধ ও নিরাপদ ইন্টারনেটবিষয়ক আন্তর্জাতিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
তারানা হালিম বলেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য আমরা বসবো যাতে করে উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ছড়ায় যে পেজগুলো বা বিদেশ থেকে যেগুলো পরিচালিত হয় সেগুলোর ব্যাপারে আমরা যেন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারি।’
ফেসবুকে কর্তৃপক্ষ আমাদের সাড়া দিচ্ছেন। উস্কানিমূলক, জঙ্গিবাদ ছড়ায় এ ধরনের পেজ তারা বন্ধ করেছেন। আমরা অনেকটাই এগিয়ে গেছি বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজস্ব নীতিমালায় পরিচালিত হয়। সেখানে একটি অংশ থাকে যে সেই নীতিমালাগুলো যেন কোনো রাষ্ট্রের আইনবিরোধী না হয়। এর যথাযথ বাস্তবায়ন হলে প্রত্যেক দেশের সুবিধা হয়।
তিনি বলেন, সমস্যা হলো যেগুলো ইউআরএল পাঠাতে হয়, অনেকগুলো থাকে ফেক, তখন ওই ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছি না। আইনের প্রয়োগ তখনই হবে যখন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পারব।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন। বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, কমনওয়েলথ টেলিযোগাযোগ সংস্থার মহাসচিব শোলা টেইলর এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: ফোকাসিং অন সাইবার ক্রাইম, সেইফ ইন্টারনেট অ্যান্ড ব্রডব্যান্ড’ শীর্ষক এই কর্মশালাটি কমনওয়েলথ টেলিকমিউনিকেশন অর্গানাইজেশনের (সিটিও) উদ্যোগে ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সহযোগিতায় সাইবার অপরাধ বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও এর ভবিষ্যত নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুইদিনব্যাপী এই কর্মশালায় ৯টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
এএস/জেডএ/আরআইপি