ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

টুইটারের বিরুদ্ধে টুইট বিক্রির অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৩:৩৩ এএম, ২৪ মার্চ ২০১৫

ব্যহারকারীরা মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে নানা বিষয়ে মতামত দেন; শেয়ার করেন ছবি কিংবা ভিডিও। কিন্তু এগুলো অর্থের বিনিময়ে অন্য কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে টুইটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। টুইটের ধরন ও বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে টুইটার তৈরি করছে বিশাল তথ্যভাণ্ডার। আর এসব করা হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে সুবিধা আদায়ের জন্যই। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে যুক্তরাজ্যের সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

শীর্ষ মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে বর্তমানে ২৮ কোটির বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। তারা নিয়মিতই সাইটটিতে নানা বিষয় শেয়ার করেন। এ প্লাটফর্মে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন হলেও অনেকে তা নিয়ে সচেতন নন।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, টুইটারের ডাটা স্ট্র্যাটেজি প্রধান ক্রিস মুডি মাইক্রো ব্লগিং সাইটটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ করেন। আর এতে সাইটটির ব্যবহারকারীরাও নিজের অজান্তে পণ্যে পরিণত হবেন। কিন্তু বেশির ভাগ ব্যবহারকারীই এ বিষয়ে একটুও সচেতন নন।

প্রতিবেদনে উদাহরণ দিয়ে বলা হয়, ধরুন একজন বয়স্ক যাত্রী তার সদ্যপ্রসূত নাতিকে দেখতে অন্য শহরে যাবেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি যখন উড়োজাহাজের আসনে বসবেন। তখনই রঙিন কাগজে মোড়ানো গিফট নিয়ে হাজির হবেন বিমানের কর্মীরা। উপহারের বাক্সের গায়ে লেখা থাকবে নতুন অতিথির আগমনে ওই যাত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সুন্দর কোনো বাণী। এমন ঘটনাও ভবিষ্যতে ঘটতে পারে। এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ একজন যাত্রী সম্পর্কে এসব খোঁজ পাবেন টুইটার থেকে। এক্ষেত্রে যাত্রীরা টুইটারে তাদের দৈনন্দিন বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও অনুভূতি শেয়ার করতে হবে। এভাবে অন্য কারো নজরদারি থাকার বিষয়টি বেশির ভাগ মানুষ পছন্দ করেন না বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বর্তমানে টুইটারের সার্বিক আয়ের কিছু অংশ আসে গ্রাহকের তথ্য বিক্রি করে। ভবিষ্যতে এ খাত থেকে আয় অনেক গুণ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। গত বছরের শুরুতে ডাটাগ্র্যান্টস নামে একটি পরীক্ষামূলক কর্মসূচি চালু করে টুইটার। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান টুইটারের সাধারণ ব্যবহারকারীর তথ্যে প্রবেশাধিকার পায়। এ প্রবেশাধিকার পাওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একাধিক গবেষণা সংস্থাও রয়েছে। এ বিষয়ে ক্রিস মুডি বলেন, ‘আমাদের কাছে অনেক বিষয়ে গ্রাহকরা জানতে চান। তারা অস্বস্তিতে পড়েন এমন কোনো কাজ আমরা করি না। গ্রাহকের অভিজ্ঞতা উন্নত করতেই সব কাজ করে টুইটার।

এআরএস/আরআইপি