মোবাইল ফোন নজরদারিতে বিনিয়োগ বাড়ছে
দেশে মোবাইল ফোন নজরদারিতে বড় ধরণের বিনিয়োগ কররতে যাচ্ছে সরকার। মুলত মোবাইল ফোন কল, এসএমএস এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্য, ছবি এবং কথোপকথন সব কিছুই নজরদারিতে রাখতে সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করতেই এ বিনিয়োগ বাড়ানো হচ্ছে। তবে এ বিনিয়োগের একটি অংশ দিচ্ছে মোবাইল ফোন অপারেটররা। আর এ নজরদারিতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে একটি জার্মান কোম্পানি।
সূত্র জানায়, ফোন নজরদারিতে বিনিয়োগের অংশ হিসেবে ৬টি মোবাইল ফোন কোম্পানি ইত্যোমধ্যে দিয়েছে ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অ্যাসোসিয়েশন অফ মোবাইল টেলিকম অপারেটর্স বাংলাদেশ` (অ্যামটব)-এর প্রধান নির্বাহী নুরুল কবির জানান, লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী মোবাইল ফোন অপারেটরদের অর্থ পরিশোধ করতে হয়েছে। তবে এই অর্থের পরিমাণ কত তা জানাতে রাজি হননি তিনি।
সূত্র জানায়, চলতি মাসেই মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে মোবাইল ফোন কথোপকথনের কিছু রেকর্ড উপস্থাপন করা হয়। তাতে দেখা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কিছু নির্দেশনা রয়েছে নেতা-কর্মীদের প্রতি। এই বৈঠকের পরই মোবাইল ফোনে নজরদারি ব্যবস্থা আরও উন্নত করার সিদ্ধান্ত হয়।
সরকারের ন্যাশনাল মনিটরিং সেন্টারের (এনএমসি) মাধ্যমে এই নজরদারি করা হয়। বর্তমান ব্যবস্থায় একবারে ২০ হাজার মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড করা যায়। ধারণা করা হচ্ছে উন্নত ব্যবস্থায় এই ফোন কল রেকর্ডের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এছাড়া থ্রিজি মোবাইল ফোন মনিটরিং-এর সর্বশেষ প্রযুক্তিও বসানো হবে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী বৃদ্ধি, প্রযুক্তির উন্নতি এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের বিস্তৃতির কারণে সার্ভিলেন্স এবং মনিটরিং ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ প্রয়োজন।
মনিটরিং কাজে এনএমসি-র মোবাইল ফোন ডাটাবেজের কতটুকু তথ্য প্রয়োজন হয় জানতে চাইলে অ্যামটব-এর প্রধান নির্বাহী নুরুল কবির জানান, এ ব্যাপারে আমরা কিছু বলতে পারব না। এ তথ্য দিতে পারবে এনএমনি ও বিটিআরসি।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং ফাইবার অ্যাট হোম-এর চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার সুমন আহমেদ সাবির জানান, এটা স্পষ্ট যে সরকার মোবাইল ফোন সার্ভিলেন্স এবং মনিটরিং-এর বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। ব্যবহার করছে সর্বাধুনিক, সর্বশেষ প্রযুক্তি। তবে এই বিনিয়োগের পরিমাণ কত, তা হয়ত সরকার প্রকাশ করছে না অভ্যন্তরীণ কারণে।
এএইচ/আরআই