সুযোগ পেল সিটিসেল
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায় লাইসেন্স বাঁচিয়ে রাখতে হলে সিটিসেলকে ২৮ দিনের মধ্যে ৩১৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে। একই সঙ্গে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের বকেয়া অর্থের বাকি ১৫৯ কোটি ২১ লাখ টাকা পরের এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রকাশিত এক আদেশ বলা হয়েছে লাইসেন্স টিকিয়ে রাখতে দেশের সবচেয়ে পুরনো অপারেটরকে ১৯ অক্টোবরের মধ্যে বিটিআরসির বকেয়া ৪৭৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকার প্রথম অংশ পরিশোধ করতে হবে।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, কোর্টের এ নির্দেশনা পাওয়ার পর কমিশন সিটিসেলকে পাঠিয়ে আল্টিমেটাম জানিয়ে দিয়েছে। এর আগে ২৯ আগস্ট সর্বোচ্চ আদালত দুই মাসে দুই কিস্তিতে পাওনা টাকা পরিশোধ করলে সিটিসেল কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে বলে রায় দেয়। বুধবারের নির্র্দেশনায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ আরো চার বিচারপতির নাম উল্লেখ রয়েছে।
অপারেটরটির কাছে বিভিন্ন খাতে বিপুল পাওনা থাকায় ১ জুলাই বিটিআরসি প্রথমে ১৬ আগস্টের মধ্যে সিটিসেলের গ্রাহকদের অপারেটর বদল করার অনুরোধ জানায়।
পরে সরকার আরো সাত দিন সময় বাড়িয়ে দেয়। একই সঙ্গে কেন লাইসেন্স বাতিল করা হবে না তা জানতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। এর মধ্যে সিটিসেল উচ্চ আদালতে গেলে দুই দিনের শুনানির পর দুই কিস্তিতে টাকা পরিশোধের নির্দেশনা দেন বিচারকরা।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে দেশের প্রথম মোবাইল অপারেটরের লাইসেন্স পেয়ে সিটিসেল ১৯৯৩ সাল থেকে সেবা দিতে শুরু করে। বর্তমানে এ অপারেটরের ৪৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক সিঙ্গাপুরের টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা কোম্পানি সিংটেল। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোর্শেদ খানের প্যাসিফিক মোটর্সের রয়েছে ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে ফার ইস্ট টেলিকমের হাতে। সেটিও মোর্শেদ খানেরই আরেকটি কোম্পানি।
আরএম/এনএফ/এবিএস