ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

জরিমানা দেবে অ্যাপল, গুগল, ইনটেল ও অ্যাডোবি

প্রকাশিত: ০৫:৫৫ এএম, ১৮ জানুয়ারি ২০১৫

কর্মীরা বেশি বেতন পেয়ে অন্য কোম্পানিতে যোগ দিলে কিছুটা ঝামেলায় পড়েন বর্তমান নিয়োগকর্তা। এ ধরনের ঝামেলা এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির শীর্ষ চার প্রতিষ্ঠান কয়েক বছর আগে এক গোপন চুক্তি করে। এ চার প্রতিষ্ঠান - অ্যাপল, গুগল, ইনটেল ও অ্যাডোবি - চুক্তি অনুযায়ী তারা একে অন্যের কর্মীকে নিয়োগ দিত না। কিছু দিন আগে তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ এনে মামলা করেন কর্মীরা। সম্প্রতি এ মামলা নিষ্পত্তিতে চার কোম্পানিকে ৪১ কোটি ৫০ লাখ ডলার জরিমানা দিতে হবে। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জরিমানার অর্থ পাবেন প্রতিষ্ঠানগুলোর ৬৪ হাজার সাবেক ও বর্তমান কর্মী। সম্প্রতি মামলা নিষ্পত্তিতে ৪১ কোটি ৫০ লাখ ডলার জরিমানার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন প্রতিষ্ঠান চারটি ও তাদের কর্মীরা। কিন্তু এ প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে আদালতের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। এর আগেও এ ধরনের আরেকটি প্রস্তাবনা আনা হয়েছিল। তখন মামলা নিষ্পত্তিতে ৩২ কোটি ৪৫ লাখ ডলার জরিমানা দেয়ার প্রস্তাব দেয় প্রতিষ্ঠান চারটি। কিন্তু তখন এ অর্থের বিনিময়ে মামলা নিষ্পত্তির বিষয়টি বাতিল করেন আদালত।

প্রস্তাবনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীরা আইনজীবীর ফি পরিশোধের পরও গড়ে ৫ হাজার ডলার করে পাবেন। কর্মীরা তাদের মামলায় অভিযোগ করেন, ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এ ষড়যন্ত্র চালায় প্রতিষ্ঠানগুলো। এ কারণে নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ী তৎকালীন সময়ে কর্মীদের বেতন অনুসারে জরিমানা নির্ধারিত হবে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানানো হয়।

তবে কোনো ধরনের মন্দ কাজের জন্য এ জরিমানা দেয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেন ইন্টেলের মুখপাত্র চাক মালয়। তিনি বলেন, ‘যে কোনো ধরনের ঝুঁকি, বোঝা ও আইনি ঝামেলা এড়াতেই এ জরিমানা দেয়া হচ্ছে।’ এ ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে ইন্টেল তাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে অ্যাপল, গুগল ও অ্যাডোবির পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

২০০৫ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে কর্মীদের বেতন প্রায় প্রতিটি প্রযুক্তি কোম্পানিই বাড়িয়েছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে সিলিকন ভ্যালির এ চারটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সবচেয়ে বেশি। সে সময় কর্মীরা যাতে কম বেতনের কারণে অন্য কোনো কোম্পানিতে না যেতে পারে সে ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা তখন কর্মীদের বেতন বাড়িয়েছিল। কর্মীরা অন্য কোনো কোম্পানিতে যাতে যোগ দিতে না পারে সেজন্য কোনো ধরনের জোটও গঠন করা হয়নি।  

গত আগস্টে করা প্রস্তাবনায় প্রতিষ্ঠানগুলো ৩২ কোটি ৪৫ লাখ ডলার জরিমানা দিতে রাজি হয়। কিন্তু ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জজ লুসি কোহ বলেন, যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাতে কর্মীদের আরো বেশি জরিমানা দেয়া উচিত। এ কারণে তৎকালীন প্রস্তাবনা বাতিল করে দেন আদালত। সে সময় লুসি বলেন, ন্যুনতম ৩৮ কোটি ডলার জরিমানা দিতে হবে।’ এ রায়ের পরিপ্রেক্ষিতেই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে কর্মীদের আইনজীবী কেলি ডারমোডি বলেন, ‘প্রস্তাবনায় জরিমানার পরিমাণ আগের চেয়ে বাড়ায় আমরা আনন্দিত। আর এবার জরিমানার পরিমাণ আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সীমাও অতিক্রম করেছে।’ চলতি বছরের এপ্রিলের ১০ তারিখ এ মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। প্রস্তাবনাটির ভবিষ্যৎ জানতে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে প্রতিষ্ঠান ও কর্মীদের।