থ্রিজি সেবায় সবাইকে পেছনে ফেলবে টেলিটক
বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে পাল্লা দিতে থ্রিজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করছে টেলিটক। রাষ্ট্রায়ত্ত এই মোবাইল অপারেটর কোম্পানির জন্য ৬৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এর মাধ্যমে টেলিটকের থ্রিজি নেটওয়ার্ক সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। একই সঙ্গে যেসব জায়গায় থ্রিজি সেবা চালু রয়েছে তার মান আরও উন্নত হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘থ্রিজি প্রযুক্তি চালুকরণ ও ২.৫জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (ফেস-১) প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিতব্য এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটির আওতায় থ্রি-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিসহ দেশব্যাপি ১২০০টি বেইজ স্টেশন স্থাপন করা হবে। এছাড়া ৫০০টি ২.৫জি বিটিএস স্থাপনের মাধ্যমে সেবার মান উন্নয়ন করা হবে। একই সঙ্গে যেসব জায়গায় থ্রিজি চালু রয়েছে সেখানে আধুনিক প্রযুক্তির (এইচএসপিএ+) প্ল্যাটফর্ম স্থাপন হবে। এতে করে বিদ্যমান থ্রি-জি সেবার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
টেলিটকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, প্রকল্পটিতে টেলিটকের পক্ষ থেকে ৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। বাকি টাকা সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ব্যয় হবে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর নাগাদ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কাজ শেষ হলে নতুন গ্রাহকের সংখ্যা বাড়বে এবং বিদ্যমান থ্রিজি ও ২.৫জি সেবার মান আরো উন্নত হবে। আশা করা যাচ্ছে থ্রি-জি সেবায় আমরা সব অপারেটরকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাবো।
জানা গেছে, বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টেলিটক পেরে উঠছে না। টেলিটকের থ্রি-জি সেবা চালু থাকলেও গ্রাহক বাড়ছে না, উল্টো কমছে। কিন্তু বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিগুলোর ইন্টারনেট বিল টেলিটকের চেয়ে অনেক বেশি। কয়েকটি কোম্পানি টেলিটকের তুলনায় দ্বিগুণ হারে ইন্টারনেট বিল রাখছে। এই অবস্থায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকার টেলিটকের নেটওয়ার্ক কর্যক্রম ও ইন্টারনেট সেবার মান বাড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, গুরুত্ব বিবেচনায় প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে টেলিটক কোম্পানি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পাবে।
এমএ/বিএ/এমএস