৫ বছরে আইটি খাতে ২০ লাখ কর্মসংস্থান : পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ২০২১ সাল নাগাদ আইসিটি শিল্প থেকে আমরা ৫’শ কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবো। একই সময়ে জিডিপিতে পাঁচ শতাংশ অবদান থাকবে আইসিটি শিল্প থেকে। এজন্য আমরা ২০ লাখ তরুণ-তরুণীকে আগামী পাঁচ বছরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো। তিনি বলেন, গত সাড়ে সাত বছরে আইসিটি সেক্টরে প্রায় ৯ লাখেরও বেশি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে।
সোমবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন পলক। তিনি প্রস্তাবিত বাজেটে আইটি খাতে যে ভ্যাট ধরা হয়েছে তা মওফুকের অনুরোধ জানান। আর ২০২৪ সাল পর্যন্ত আইটি সেক্টরের মতো ই-কমার্সকেও ট্যাক্স ও ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখার জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান।
এসময় পলক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য সন্তান আইসিটি বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে আমরা মূলত চারটি লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সকল সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। এছাড়া জনগণকে সম্পৃক্ত করে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করে আমাদের তথ্য ও প্রযুক্তি শিল্পের বিকাশ ঘটাচ্ছি।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে শুরু করে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং সেন্টার, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল গেমিং, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন থেকে শুরু করে আমাদের আইটি সেক্টর, ফ্রিল্যান্সিং- সব মিলিয়ে এ মুহূর্তে আমরা প্রায় চার’শ বিলিয়ন ডলার আয় করছি।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশে প্রযুক্তি গ্রহণের যে হার তা ইতিমধ্যে সারাবিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। দেশে ইতিমধ্যে প্রায় ১৩ কোটিরও বেশি মোবাইল ব্যবহারকারী রয়েছেন এবং ৬ কোটিরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছেন। আইসিটির জন্য প্রয়োজন বিদ্যুৎ। গত চার বছরে তা চার’শ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আজকে প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারছেন। গ্রামের সাধারণ মানুষ ঘরে বসেই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন ও ইনকাম করতে পারছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত সাড়ে সাত বছরে আমরা ২৫ হাজার সরকারি অফিসে ইন্টারনেটের হাইস্পিড ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল স্থাপন করতে পেরেছি। আমরা মানবসম্পদ উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। কেননা ২০২১ সালে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ শেখ হাসিনা বিনির্মাণ করতে চান, সেখানে প্রযুক্তিনির্ভর জনগোষ্ঠী তৈরি করতে চাই।
প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত এ মুহূর্তে চার কোটি শিক্ষার্থী রয়েছে। এই চার কোটি শিক্ষার্থীকে প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য আইসিটি বিষয়কে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্তু বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে ২০ হাজার বুদিয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি। এবং প্রায় ৭০ মিলিয়ন ডলার প্রতিবছর ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করছি।
এইচএস/বিএ/পিআর