ইন্টারনেট বন্ধ ও বন্যায় রবির আয়ে ভাটা
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রবি আজিয়াটা লিমিটেডের আয়ে ভাটা পড়েছে। আগের প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) চেয়ে এ প্রান্তিকে আয় কমেছে ৫ শতাংশ। গত জুলাই মাসে দীর্ঘদিন ইন্টারনেট শাটডাউন ও আগস্টে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার কারণে আয় কমেছে বলে মনে করছে কোম্পানিটি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে রবি।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে রবির মোট আয়ের পরিমাণ ২ হাজার ৪৭৪ দশমিক ৪ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ কম।
অন্যদিকে, বছরের প্রথম ৯ মাসে মোট আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫৯৪ দশমিক ৬ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
পূর্ববর্তী প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে ভয়েস সেবা থেকে আয় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে, অন্যদিকে ইন্টারনেট সেবা থেকে আয় কমেছে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ভয়েস সেবা থেকে রাজস্ব বেড়েছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ, ইন্টারনেট সেবা থেকে রাজস্ব কমেছে ১০ দশমিক ৩ শতাংশ।
সার্বিকভাবে নেতিবাচক আর্থিক পরিস্থিতির কারণে রবির সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৭৯ লাখে। সক্রিয় গ্রাহকদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৩ লাখ। এর মধ্যে ৩ কোটি ৭০ লাখ গ্রাহক ফোরজি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
মোট সক্রিয় গ্রাহকের পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গ্রাহকের হার ৭৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ফোরজি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৬৪ শতাংশ। ১০ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমে যাওয়া সত্ত্বেও মোবাইল টেলিযোগাযোগ শিল্পে সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক থেকে রবি সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে।
নতুন ২৪৯টি সাইট নিয়ে তৃতীয় প্রান্তিকে রবির মোট ফোরজি সাইটের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৮ হাজারের কাছাকাছি, এর মাধ্যমে দেশের ৯৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ জনগণের জন্য ফোরজি কভারেজ নিশ্চিত হয়েছে।
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে রবির কর পরবর্তী মুনাফার পরিমাণ ১৮৮ দশমিক ৭ কোটি টাকা। বছরের প্রথম ৯ মাসের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) পরিপ্রেক্ষিতে এ সংখ্যা ৪০২ দশমিক ৮ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩৪ শতাংশ বেশি। তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় শূন্য দশমিক ৩৬ টাকা, যা গত প্রান্তিকের তুলনায় ৭৫ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।
রবির ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও রাজীব শেঠি বলেন, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়টি আমরা অনিশ্চয়তায় কাটিয়েছি। গণঅভ্যুত্থানের সময় ১১ দিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকা এবং এরপর ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি অর্থনীতির জন্য ছিল এক বড় আঘাত।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক গ্রাহক আমাদের নেটওয়ার্ক ছেড়ে যাওয়ায় স্বভাবতই রাজস্বে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কার্যকর ব্যয় ব্যবস্থাপনায় কিছু মুনাফাসহ ভালোভাবে তৃতীয় প্রান্তিক শেষ করতে পেরেছি আমরা।
এএএইচ/এমকেআর/জেআইএম