ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

সফটওয়্যারে দক্ষতা বাড়াতে বি-টপসি, প্রশিক্ষণ পাবেন ১০০০ প্রকৌশলী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:০৯ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের আরও দক্ষতা বাড়াতে বি-টপসি প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে সারাদেশের এক হাজার আইসিটি পেশাজীবী প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (বেসিস) ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশীদারত্বে প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করবে জাইকার ‘প্রজেক্ট ফর আইসিটি ইঞ্জিনিয়ার্স ডেভেলপমেন্ট ফর দ্য প্রোমোশন অব দ্য আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড নিউ ইনোভেশনস।’

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। তিনি বলেন, আইসিটি খাতে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করতে জাপানের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, ডিজিটার বৈষম্য দূর করতে সরকার কাজ করছে। ক্যাটাগরিভিত্তিক সংস্কারের অংশ হিসেবে দেশের আইসিটির অপার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে যোগ্যদের সঠিক অবস্থানে নিযুক্ত করছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, কেবল অবকাঠামো উন্নয়ন নয়, আমরা ডিজিটাল সেবা, উদ্ভাবন, ডিজিটাল সাক্ষরতা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে মনোযোগী হয়েছি। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করছি। বিটপ-সি প্রোগ্রামটি এক্ষেত্রে বড় অবদান রাখবে।

অনুষ্ঠানে জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিক্সে (এনআইআই) টপসি প্রোগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান প্রফেসর ড. হোনিদেন শিনিচির ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়। এসময় তিনি বাংলাদেশে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় সংশ্লিষ্টদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

সফটওয়্যারে দক্ষতা বাড়াতে বি-টপসি, প্রশিক্ষণ পাবেন ১০০০ প্রকৌশলী

জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে বলেন, জাপান ও বাংলাদেশের দীর্ঘকালীন বন্ধুত্ব অত্যন্ত গভীর। আর এ উদ্যোগ তারই বহিঃপ্রকাশ। বাংলাদেশের আইসিটি খাতের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে এ বি-টপসি প্রোগ্রাম। দেশের আইসিটি পেশাজীবীদের সক্ষম করে তোলার মধ্য দিয়ে আমরা নতুন উদ্ভাবন ও শক্তিশালী বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার নিত্যনতুন ক্ষেত্র তৈরি করবো।

আয়োজকরা জানান, বি-টপসি প্রোগ্রাম চালু করতে একযোগে কাজ করছে আইসিটি বিভাগ ও জাইকা। এ আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আগামী প্রজন্মের উপযোগী সুদক্ষ সফটওয়্যার প্রকৌশলী তৈরিতে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। জাপানের মর্যাদাপূর্ণ ‘টপসি’ প্রশিক্ষণ কোর্সের আদলে বাংলাদেশে বি-টপসি (বাংলাদেশ টপ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার) প্রোগ্রাম আয়োজনের লক্ষ্যও একই।

আইসিটি খাতে দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সর্বাধুনিক সফটওয়্যার প্রকৌশলের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের ‘সুপার আর্কিটেক্ট’ হিসেবে গড়ে তোলাই এ কোর্সের উদ্দেশ্য।

তারা আরও জানান, এ উদ্যোগের মাধ্যমে মিড-ক্যারিয়ারে থাকা এক হাজারেরও বেশি আইসিটি পেশাজীবী প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পাবেন। এ ক্ষেত্রে তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরাই। একই সঙ্গে আইসিটির বৈশ্বিক পরিসরে বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বি-টপসি প্রোগ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে বলেও প্রত্যাশা জানান আয়োজকরা।

এএএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম