গাড়িতে এসি চালালে কতটুকু তেল খরচ হয়?
গরমে স্বস্তি পেতে গাড়িতে এসি ব্যবহার ছাড়া উপায় নেই। অনেক সময় দীর্ঘ ভ্রমণে ঘেমে নেয়ে একাকার অবস্থা হয় যাত্রী ও চালকের। অস্বস্তিকর পরিবেশের মুখে পড়তে হয়। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন, মৃত্যুও হতে পারে।
গাড়িতে এসি চালালে যে শুধু গরমে স্বস্তি পাবেন তা নয়, বাইরের ধুলাবালি থেকেও রক্ষা পাবেন। তবে গাড়িতে এসি চালালে কিন্তু তেল খরচও বাড়বে কিছুটা। কতটা বাড়বে জানেন কি? গাড়ি চালানোর সময় শুধু রাস্তায় চোখ রাখলে হবে না, খেয়াল রাখতে হয় ফুয়েল ইন্ডিকেটর এবং পকেটের দিকেও। অনেকে মনে করেন গাড়িতে যদি টানা অনেকক্ষণ এয়ার কন্ডিশনার চলে তাহলে তেল খরচ অনেক বেশি হয়।
এসির কারণে গড়ে প্রতি ঘণ্টায় ০.২ লিটার থেকে ০.৪ লিটার পর্যন্ত জ্বালানি খরচ হতে পারে। শুনলে মনে হবে খুবই কম, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই পরিমাণ বাড়তে থাকে। দীর্ঘ ভ্রমণে এই খরচ বাড়তে থাকে।
যদিও তেল খরচ নির্ভর করে বাইরের তাপমাত্রা, আর্দ্রতার স্তর এবং এসির আকার ও কার্যকারিতার উপর। বড় এসিতে জ্বালানি খরচ বেশি হবে। ছোট এসিতে কম তেল পুড়বে। আবার পুরোনো বা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না এমন এসিকে বাতাস ঠান্ডা করার জন্য বেশি খাটতে হয়, ফলে তেলও বেশি পোড়ে।
- আরও পড়ুন
- ঘণ্টায় ৪৪৫ কিলোমিটার গতি এই গাড়ির
তবে আরও বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে তেল খরচের হিসাব। যেমন-
>> গাড়িতে এসি চালালেও বাইরের তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার স্তরও জ্বালানি খরচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন বাইরের তাপমাত্রা বেশি থাকে, তখন এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেমকে বাতাস ঠান্ডা করার জন্য বেশি খাটতে হয়। ফলে জ্বালানি খরচও বেশি হয়।
>> আবার আর্দ্রতার মাত্রা বেশি থাকলেও এসিকে বাতাস থেকে আর্দ্রতা অপসারণের জন্য বেশি পরিশ্রম করতে হয়। যার ফলে বেশি জ্বালানি খরচ হয়।
>> গাড়ির ধরনও জ্বালানি খরচকে প্রভাবিত করে। ছোট ইঞ্জিন সহ ছোট যানবাহন চালানোর খরচ বড় ইঞ্জিন বা বড় গাড়ির তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম। ইলেকট্রনিক ভেহিকেলে এসি চালানো হয় বৈদ্যুতিক মোটরের সাহায্যে। ইঞ্জিনের উপর চাপ পড়ে না।
- আরও পড়ুন
- জানালা খোলা রাখলে গাড়ির মাইলেজ কি কমে যায়?
- কত কিলোমিটার চালানোর পর গাড়ির সার্ভিসিং প্রয়োজন?
সূত্র: অটোইকোসেস
কেএসকে/এএসএম