ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

ইন্টারনেটের ‘খোঁজে’ নেপাল-ভারত ছুটছেন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা

আল-আমিন হাসান আদিব | প্রকাশিত: ০৮:৪৮ এএম, ৩১ জুলাই ২০২৪

সরকারি হিসাবেই বাংলাদেশে সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার ৭ লাখের বেশি। নানান প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ‘মুক্তপেশা’ হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং বেছে নেওয়া তরুণ-তরুণীর এ সংখ্যা বাড়ছেই। সরকার সবসময় তাদের কাজের ভালো পরিবেশ নিশ্চিত করার কথা বলে আসলেও তা যেন আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ। নিরবচ্ছিন্ন ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা না পাওয়াটাই বর্তমানে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে বড় বাধা।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বাংলাদেশে মাসে অন্তত ৭ বার ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হয়। তবে চলতি জুলাই মাস যেন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এক দুঃসহ সময়। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ১০ জুলাই থেকে ইন্টারনেটে ধীরগতির শুরু। ১৫ জুলাই থেকে ধীরগতি আরও খারাপের দিকে যায়। ১৮ জুলাই রাত ৯টার দিকে হঠাৎ সারাদেশে ইন্টারনেট শাটডাউন হয়ে যায়। এতে যেন মাথায় বাজ পড়ে ফ্রিল্যান্সারদের।

ফ্রিল্যান্সার ও খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইন্টারনেট শাটডাউন মানেই তাদের দম বন্ধ। সেখানে টানা পাঁচদিন পুরোপুরি শাটডাউনে তাদের অবস্থা ত্রাহি ত্রাহি হয়ে ওঠে। ফলে বাধ্য হয়েই স্বপ্ন বাঁচাতে অনেকে ছোটেন ভারতে, অনেকে নেপালে। তবে অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা থাকায় সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার ছুটে গেছেন হিমালয়ের দেশ নেপালে।

ইন্টারনেটের ‘খোঁজে’ নেপাল-ভারত ছুটছেন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা;

নেপাল-ভারতে গেছেন দুই শতাধিক, পথ খুঁজছেন অনেকে

ফ্রিল্যান্সারদের ছোট-বড় বেশ কয়েকটি সংগঠন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সংগঠিত বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বিএফডিএস)। সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে যে তথ্য পাওয়া গেছে সে অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ১৬১ জন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার নেপালে গেছেন। এছাড়া ভারতে গেছেন ৩৩ জন। প্রকৃতপক্ষে এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে মনে করেন তারা। তাছাড়া দেশে ইন্টারনেটে এখনো ধীরগতি থাকায় আরও অনেকেই যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ইন্টারনেট চালুর পর গতি কম থাকায় গত ২৩ জুলাই নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন ফ্রিল্যান্সার আতিকুর রহমান। টানা সাতদিন তিনি দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডুর ‘চন্দ্রগিরি হিলস’ হোটেল অবস্থান করছেন। হোটেলের ইন্টারনেট ও সেদেশের মোবাইল সিম দিয়ে ফোরজি ডাটা ব্যবহার করে নিজের প্রতিষ্ঠানের ক্লায়েন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সাধ্যমতো কাজ করছেন। তবে সেখানে থাকা-খাওয়া বাবদ প্রতিদিন গুনতে হচ্ছে বড় অংকের টাকা।

নিজের ফেসবুক পেজে দুঃখ প্রকাশ করে সোমবার (২৯ জুলাই) রাতে একটি পোস্ট দেন আতিকুর রহমান। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘৬ দিন হয়ে গেলো একাকী প্রবাস জীবনযাপন করছি। ঘুরতে আসলে ভিন্নকথা। তবে ছোট্ট একটা আইটি ফার্মকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য অন্য একটি দেশে এসে থাকা নিষ্ঠুর এবং বিরক্তিকর। এখনো দেশে নেটের স্পিড স্বাভাবিক হলো না!’ পোস্টের সঙ্গে হোটেলে বসে কাজ করার একটি ছবিও শেয়ার করেছেন তিনি।

৬ দিন হয়ে গেলো একাকী প্রবাস জীবনযাপন করছি। ঘুরতে আসলে ভিন্নকথা। তবে ছোট্ট একটা আইটি ফার্মকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য অন্য একটি দেশে এসে থাকা নিষ্ঠুর এবং বিরক্তিকর। এখনো দেশে নেটের স্পিড স্বাভাবিক হলো না!
- আতিকুর রহমান

ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে আতিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক। এসময় তিনি জানান, বাধ্য হয়ে নেপাল থাকলেও মন ভালো নেই।

আতিকুর রহমান বলেন, ‘এখানে ফোরজি নেট পাওয়া যাচ্ছে। সব সুযোগ-সুবিধা ভালো। তবে নিজ দেশ ছেড়ে একা একা এখানে এসে কাজ করতে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছি। আরও অনেকে নেপালের বিভিন্ন জায়গায় আছেন বলে খবর পাচ্ছি। তাদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগও হচ্ছে। তবে বিদেশে চাইলেই তো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলাফেরা করা যায় না। প্রতিটি পদক্ষেপ হিসাব কষে নিতে হচ্ছে। খরচের দিকটাও দেখতে হচ্ছে। শুধুমাত্র এখানে আসতে এয়ার টিকিটের (প্লেন ভাড়া) জন্যই খরচ হয়েছে ৪০০ ডলার। এভাবে আসলে সম্ভব নয়। দ্রুত দেশে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক করা জরুরি।’

আতিকুরের পোস্টের নিচে মন্তব্য করে মিজানুর রহমান নামে আরেক বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার জানিয়েছেন তিনিও নেপালে অবস্থান করছেন। মিজানুরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক। তিনি জানান, বর্তমানে তিনিসহ ছয়জন নেপালের নাটারকোট এলাকায় রয়েছেন। সেখানে জীবনযাপন খরচ তুলনামূলক কম হওয়ায় তারা সেখানে থেকে কাজ করছেন। বাংলাদেশ থেকে আরও অনেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তারাও নেপালে যেতে চান। এ সংখ্যা নেহাতই কম নয় বলে জানান মিজানুর রহমান।

‘স্প্রিংডেভস’ও ‘বিট বাইট টেকনোলজি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আল-মাহমুদ। তিনি জানান, ইন্টারনেট শাটডাউন হওয়ার পর তার টিমের বেশ কয়েজনকে নেপালে পাঠিয়েছেন। সেখানে থেকে এখনো তারা কাজ করছেন। এজন্য প্রতিদিন বড় অংকের অর্থ খরচ করতে হচ্ছে তাদের। আয়ের চেয়ে এখন প্রতিদিন বেশি খরচ পড়ছে। শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান বাঁচিয়ে রাখতে তিনি এ পথে হেঁটেছেন।

জোবায়ের হোসেন এবং আ ন ম রাশেদুল হক নিশানও এখন রয়েছেন নেপালে। এ দুই ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক। তাছাড়া মাইনুল এক্সটেনশনের মালিক ও সিইও মোহাম্মদ মাইনুল আরেফিন গেছেন দুবাই। দীর্ঘদিনের কষ্টে গড়া প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে বিপুল অর্থ খরচ করে দুবাই থেকে কাজ করছেন বলে জানান তিনি।

ইন্টারনেটের ‘খোঁজে’ নেপাল-ভারত ছুটছেন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা;

কলকাতা গিয়ে নিজের এক বাংলাদেশি বন্ধুর সঙ্গে থেকে কাজ করছেন আসিফুর রহমান সোহাগ নামে এক ফ্রিল্যান্সার। জাগো নিউজকে সোহাগ বলেন, ‘২৪ জুলাই আমি (কলকাতা) চলে এসেছি। আমার এক বন্ধু এখানে পড়াশোনা করে। ও যেখানে থাকে, সেখানে একটি রুম এক মাসের জন্য ভাড়া নিয়েছি। এখানে থেকে কাজ করছি। তুলনামূলক খরচ কম পড়লেও নিজ দেশ ছেড়ে এসে অন্য দেশে বসে কাজ করা বেশ কষ্টসাধ্য।’

সাতদিনে ক্ষতি দেড়শ কোটি, দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি ৭০০ কোটি

বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির (বিএফডিএস) চেয়ারম্যান ডা. তানজিবা রহমান। স্বাস্থ্যখাত নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করেন তিনি। তার মতে, ইন্টারনেট শাটডাউনের সময়ের হিসাব বাদেও গত ৭ দিনে ধীরগতির কারণে ফ্রিল্যান্সিং খাতে দেড়শ কোটি টাকা লেকসান হয়েছে। এটা দৃশ্যমান ও স্বল্পমেয়াদি ক্ষতি। ফ্রিল্যান্সিংয়ে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির পরিমাণ হতে পারে ৭০০ কোটি টাকা পর্যন্ত। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

ডা. তানজিবা রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের অনেক ফ্রিল্যান্সার নেপালে গেছেন, অনেকে ভারতে। এখন পর্যন্ত দেশে ইন্টারনেটে যে গতি পাওয়া যাচ্ছে, তা দিয়ে কাজ করা এবং ক্লায়েন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কষ্টসাধ্য। যারা বিদেশে যাচ্ছেন, তাদের সেখাতে থেকে কাজ করতে অনেক খরচ হচ্ছে। এভাবে বেশিদিন চলতে পারবেন না কেউই। সরকারের কাছে আমাদের দাবি দ্রুত ইন্টারনেট সেবা নিরবচ্ছিন্ন ও স্বাভাবিক করা হোক।’

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি এ কে এম ফাহিম মাশরুর জাগো নিউজকে বলেন, ‘যতদিন ইন্টারনেটে ধীরগতি থাকবে, ক্ষতি তত বাড়বে। দৃশ্যমান বা সাময়িক ক্ষতির চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি বেশি। বিদেশি ক্লায়েন্টরা সময়মতো কাজ না পেয়ে নেগেটিভ রিভিউ দিয়ে গেলে একজন ফ্রিল্যান্সার যে আইডি দিয়ে কাজ করেন, তাতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। পরে অন্য ক্লায়েন্টরা তাকে কাজ দিতে চাইবে না। এটা একেবারে সহজ হিসাব ও তথ্য। এর বাইরেও অনেক জটিলতা রয়েছে।’

দেশে ইন্টারনেটে যে গতি পাওয়া যাচ্ছে, তা দিয়ে কাজ করা এবং ক্লায়েন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কষ্টসাধ্য। যারা বিদেশে যাচ্ছেন, তাদের সেখাতে থেকে কাজ করতে অনেক খরচ হচ্ছে। এভাবে বেশিদিন চলতে পারবেন না কেউই।
- তানজিবা রহমান

তিনি আরও বলেন, ‘ইন্টারনেট শাটডাউন বা ধীরগতিতে যথাসময়ে কাজ দেওয়া দুরূহ হয়ে পড়ছে। যোগাযোগে সমস্যা হয়েছে। অনেকে বুস্টিংয়ের কাজ করে থাকেন। তাদের এটা সবসময় নাড়াচাড়া করতে হয়। ইন্টারনেটের কারণে সেটা সম্ভব না হলে ক্ষতি হবে। এমন অসংখ্য ক্ষতি আছে। টেকনিক্যাল বিভিন্ন সমস্যা বাড়বে। যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে না পারলে এ ক্ষতি কখনো পোষানো যাবে না।’

প্রণোদনা বাড়ানোর আশ্বাস পলকের, দাবি ১০ শতাংশ

ইন্টারনেট শাটডাউন ও ধীরগতির কারণে ফ্রিল্যান্সিং খাতে ভয়াবহ ধস নামার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ফ্রিল্যান্সাররা, তা আগামী ৬ মাসেও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। এমন প্রেক্ষাপটে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে দিতে ফ্রিল্যান্সারদের নগদ প্রণোদনা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সম্মেলনকক্ষে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সাররা যে প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট করেন, তা থেকে যে আয় আসে, তার ওপর নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়। সম্প্রতি তাদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে দিতে এই প্রণোদনাটা একটু বাড়ানো যায় কি না, তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমি নিজে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে কথা বলবো। তাদের নগদ প্রণোদনা যেন ৩ বা ৪ শতাংশ করা হয়, সে বিষয়ে জোর সুপারিশ করা হবে।’

তবে ফিল্যান্সাররা জানিয়েছেন, ৪ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়ার কথা থাকলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি। ফলে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সাররা এখন কোনো প্রণোদনার সুবিধা পাননি।

যতদিন ইন্টারনেটে ধীরগতি থাকবে, ক্ষতি তত বাড়বে। দৃশ্যমান বা সাময়িক ক্ষতির চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি বেশি। বিদেশি ক্লায়েন্টরা সময়মতো কাজ না পেয়ে নেগেটিভ রিভিউ দিয়ে গেলে একজন ফ্রিল্যান্সার যে আইডি দিয়ে কাজ করেন, তাতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। পরে অন্য ক্লায়েন্টরা তাকে কাজ দিতে চাইবে না।
- এ কে এম ফাহিম মাশরুর, সাবেক সভাপতি, বেসিস

রাজশাহী টেক নামে একটি আইটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মাহফুজুর রহমান। বিএফডিএসের নেতৃত্বেও রয়েছেন তিনি। মাহফুজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা তো কোনো প্রণোদনা পাই না। ঘোষণা থাকলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি। আমরা চাই, আইটিখাতের প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন ১০ শতাংশ প্রণোদনা পায়, আমাদেরও সেটা দেওয়া হোক।’

ইন্টারনেটের ‘খোঁজে’ নেপাল-ভারত ছুটছেন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা;

তবে ১০ শতাংশ প্রণোদনা পেতে হলে অনেক দীর্ঘ প্রক্রিয়ার বেড়াজালে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান বিএফডিএসের চেয়ারম্যান তানজিবা রহমান।

তিনি বলেন, ‘আইটিখাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বেসিসের সদস্যরা যে ১০ শতাংশ প্রণোদনা পান, সেটা পেতে হলে অনেক লং প্রসেসে (দীর্ঘ প্রক্রিয়া) যেতে হয়। সেজন্য ৪ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার যে ঘোষণা রয়েছে, সেটি দ্রুত কার্যকর করা জরুরি। আমার জানামতে, এটার সব কাজ শেষে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। চরম দুঃসময়ে ৪ শতাংশ প্রণোদনা পেলে কিছুটা হলেও ফ্রিল্যান্সারার লাভবান হবেন।’

এএএইচ/কেএসআর/জেআইএম