দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাতে বাইকে যুক্ত হচ্ছে এয়ারব্যাগ
গাড়ি দুর্ঘটনার স্বীকার হলে যাত্রীর সুরক্ষায় এয়ারব্যাগ রয়েছে। কিছু দুই চাকার যান বা বাইকে এই সুবিধা ছিল না। এবার বিশ্বের প্রথম এয়ারব্যাগ চালিত মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছে জাপানের হোন্ডা। এটির নাম হোন্ডা গোল্ডউইং।
দুর্ঘটনার সময় গাড়ির মতো খুলে যাবে এয়ারব্যাগ। সংঘর্ষ লাগলে চালকের মুখের সামনে খুলবে এয়ারব্যাগ। ফলে দুর্ঘটনায় বড় আঘাত থেকে রক্ষা পাবে চালক। এটি কোম্পানির অন্যতম প্রিমিয়াম মোটরসাইকেল।
বাইকে রয়েছে ১৮৩৩ সিসি লিকুইড কুল্ড ৬ সিলিন্ডার ইঞ্জিন, যা সর্বোচ্চ ৯৩ কিলোওয়াট শক্তি এবং ১৭০ এনএম টর্ক তৈরি করতে পারে। সঙ্গে পাবেন ৭ স্পিড গিয়ারবক্স। বাইকের ওজন ৩৯০ কেজি, সিটের উচ্চতা ৭৪৫ মিলিমিটার। এই বাইক থেকে সর্বোচ্চ ১২৪.৭ হর্সপাওয়ার শক্তি তৈরি হয়। এই হর্সপাওয়ার হাইওয়ে রোডের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত।
আরও পড়ুন
এতে পাবেন ৭ ইঞ্চি টিএফটি কালার ডিসপ্লে এবং ইলেকট্রিক উইন্ডশিল্ড। বাইকে মিলবে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটিও। হোন্ডা গোল্ডউইং ট্যুরে রয়েছে ফুল এলইডি লাইটিং, যা রাতের বেলা রাইডারদের ভিজিবিলিটি বাড়াতে সাহায্য করে। গাড়ির মতো এতে পাবেন অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং অ্যাপল কারপ্লে সাপোর্ট, যা খুব কম বাইকেই রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, মোটরসাইকেলে রয়েছে স্পিকার এবং টায়ার প্রেশার মনিটরিং সিস্টেম। এতে এয়ারব্যাগের পাশাপাশি দুটি ইউএসবি টাইপ-সি কানেক্টিভিটি ফিচারও পাবেন।
বাইকে সুরক্ষা তো সেরা রয়েছে, পাশাপাশি বিনোদনের জন্য মজুত গুচ্ছের ফিচার। লং ট্যুরের ক্ষেত্রে যে সব রাইডার এই বাইক নিয়ে বেরোবেন তাদের যাত্রা মনোরম করে তুলতে যা যা সুবিধা থাকা দরকার সবই রয়েছে।
হোন্ডা গোল্ডউইং বাইকে একটি এয়ারব্যাগ রয়েছে চালকের সুরক্ষার জন্য। আর এটি বাইকের ফুয়েল ট্যাংকের কাছে ইনস্টল করা থাকবে। ফুয়েল ট্যাংকের বিশেষত্ব হলো, এটির সিটের নিচে রাখা থাকে, বাইকে তিনটি আলাদা স্টোরেজ বক্স রয়েছে। বাইক যখনই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হবে, তখনই এয়ারব্যাগ খুলে যাবে।
হোন্ডা গোল্ড উইংয়ের দাম রয়েছে ৪৪ লাখ ৫১ হাজার রুপি (এক্স-শোরুম)। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। দামের দিক দিয়ে এটি টয়োটা ফর্চুনারের থেকেও দামি।
আরও পড়ুন
সূত্র: এই সময়
কেএসকে/এএসএম