বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারছেন টেলিটক গ্রাহকরা
ন্যাশনাল রোমিংয়ের মাধ্যমে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারছেন টেলিটক গ্রাহকরা। কোনো এলাকায় নিজেদের নেটওয়ার্ক না থাকলেও বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কথা বলাসহ সব ধরনের সেবা নিতে পারবেন টেলিটক গ্রাহকরা।
শুরুতে সীমিত পরিসরে এ ‘ন্যাশনাল রোমিং’ সেবা চালু হয়েছে। টেলিটকের দুই হাজার গ্রাহক এ সেবা নিতে পারছেন। ধীরে ধীরে এটি বাড়িয়ে পুরোদমে তা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে, প্রথম দুই হাজার গ্রাহক কারা হবেন, এ বিষয়ে টেলিটকের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, তারা একটি ‘ক্রাইটেরিয়া’ করেছেন। যেসব গ্রাহক বেশি কথা বলেন, ডাটা বেশি ব্যবহার করেন তারাই প্রথম ধাপের গ্রাহক হিসেবে এ সেবার আওতায় আসবেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে সেবাটির উদ্বোধন করবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
অন্যদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘ন্যাশনাল রোমিং’ টেলিটকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। দুর্বল নেটওয়ার্কের অপারেটরকে সবল নেটওয়ার্কে পরিণত করবে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিটক বাংলালিংকের সারাদেশে সাড়ে ১৪ হাজার টাওয়ারের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের সঙ্গে অপারেটরটি তাদের গ্রাহকদের সেবা দিতে পারবে।
বাংলালিংক এ সেবার জন্য টেলিটককে এখনই কোনো চার্জ করছে না। যদিও ন্যাশনাল রোমিংয়ে দুটি অপারেটর পরস্পরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবে। এতে কোথাও একটি অপারেটরের নেটওয়ার্ক না থাকলে কিংবা তা দুর্বল হলে তখন ওই এলাকায় অন্য অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কথা বলাসহ সব ধরনের মোবাইল সেবা চালু থাকবে। তবে এখনই বাংলালিংক গ্রাহকরা এ সুবিধা পাচ্ছেন না।
আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলালিংকের গ্রাহকরাও এ সুবিধা পেতে পারেন। এ উদ্যোগ চালুর আগে দুই অপারেটর নিজেদের মধ্যে ভয়েস কল, এসএমএস, ইউএসএসডি সেবার ইনকামিং-আউটগোয়িং পরীক্ষা করেছে। সেখানে এটির সফলতার হারই বেশি দেখা গেছে। বর্তমানে বাংলালিংকের গ্রাহক ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৪০ হাজার আর টেলিটকের গ্রাহক ৬৪ লাখ ৮০ হাজার।
বিটিআরসি বলছে, ন্যাশনাল রোমিং আন্তর্জাতিক রোমিং সেবার মতোই একটি বিষয়। এতে একটি মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকরা দেশের কোনো এলাকায় তাদের নেটওয়ার্ক না পেলে কিংবা নেটওয়ার্ক দুর্বল হলে আরেকটি মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সব রকম মোবাইল যোগাযোগ সেবা নিতে পারবেন। এটি চালুতে নীতিগত যা অনুমোদন দেওয়ার, তা দিয়েছে বিটিআরসি।
এএএইচ/এমকেআর/এমএস