ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট খরচ কমাবেন যেভাবে

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:২৫ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২৩

মামুন রাফী

সারাক্ষণ ফোনে ব্যস্ত থাকেন নানান কাজে। কখনো সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করছেন, কখনোবা ইউটিউবে নাটক, সিনেমা দেখছেন। সব কিছুর জন্যই দরকার ইন্টারনেট কানেকশন। ঘরে থাকলে ওয়াই-ফাই ব্যবহার করছেন কিন্তু বাইরে গেলে মোবাইলের ইন্টারনেটই ভরসা।

তবে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট খরচ বেশি হয় খানিকটা। সেটাই স্বাভাবিক। তবে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে স্মার্টফোন ইন্টারনেটের খরচ কমানো যায়। দেখে নিন তেমনই কয়েকটি উপায়-

ডাটা রেসট্রিকশন
অনেকেই জানেন না যে স্মার্টফোনটি যখন ব্যবহার করছেন না কিন্তু ডেটা অন করে রেখেছেন তখনও আপনার ডাটা খরচ হচ্ছে! হ্যাঁ ঠিক তাই। আপানার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটির বেশিরভাগ অ্যাপসই সার্ভিস সচল রাখার জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা ব্যবহার করে। যেমন হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, প্লে-স্টোর, গুগল অ্যাপস, মেসেঞ্জার ইত্যাদি। এই অ্যাপসগুলো আপনি অন্য কাজ করার সময়ও অকারণে ডাটা কাটতে থাকে। এর থেকে বাঁচতে আপনার সেটিংস অপশনে গিয়ে ডাটা ইউজেস>তারপর রেস্টিক্ট ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা অপশনে টিক দিয়ে দিন। আপনার নোটিফিকেশন বারে একটি বিস্ময়সূচক চিহ্ন দেখাবে। এর মানে অ্যাপগুলো আর ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাটা চুরি করতে পারবে না।

আরও পড়ুন: ক্ষতিকর ৩ অ্যাপ রয়েছে ৬০ কোটি ব্যবহারকারীর ফোনে

প্রয়োজনীয় অ্যাপস চালু রাখুন
যেহেতু স্মার্টফোন ইউজ করেন সেহেতু নিশ্চয়ই ইন্টারনেট ভিত্তিক কোনো একটি বা একাধিক ইনস্টেন্ট মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন। এর মাঝে এমন একটি অ্যাপ থাকতে পারে যেটিকে সব সময় চালু রাখা দরকার। যদি ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা বন্ধ করে রাখেন তবে সবগুলো অ্যাপ একত্রে ব্যাকগ্রাউন্ডে বন্ধ হয়ে থাকবে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে সেটিংস>ডাটা ইউজেস এ গিয়ে দেখতে পাবেন সবগুলো অ্যাপ দেখাচ্ছে। কোন অ্যাপ কী পরিমাণ ডাটা খরচ করছে সেটাও আপনি দেখতে পারবেন। এখন একটু সময় নিয়ে অ্যাপসগুলোতে ক্লিক করে ভেতরে প্রবেশ করুন এবং যে অ্যাপগুলো আপনার চালু রাখা দরকার সেগুলো বাদ দিয়ে বাকিগুলো রেস্টিক্টেড করে দিন।

ডাটা সেভিংস অ্যাপ ব্যবহার
কিছু কিছু অ্যাপস আছে যেগুলো অনেক লো ডাটা খরচ করে আপনাকে ব্রাউজিংয়ের সুযোগ দেয়। যেমন অপেরা মিনি, অপেরা নিউ, ইউসি ব্রাউজারে ডেটা সেভিংস মুড আছে। এই মুড ব্যবহার করে আপনি ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ব্রাউজিং খরচ বাঁচাতে পারেন। ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং এর ক্ষেত্রে সঠিক অ্যাপ নির্বাচন করুন। যেমন ভয়েস কলিংয়ের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপে ডাটা খরচ খুবই কম হয়। তাই দেখেশুনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন।

সিকিউরিটি অ্যাপ ব্যবহার করুন
বিভিন্ন সিকিউরিটি অ্যাপস ব্যবহার করেও আপনি ডাটা খরচ কমাতে পারেন। এই অ্যাপগুলোর দ্বারা আপনি জানতে পারবেন কোন অ্যাপ আপনার ডাটা চুরি করছে। সেটিংসের মাধ্যামে আপনার পারমিশন ছাড়া সেগুলো ডাটা ব্যবহার করতে পারবে না। প্লে-স্টোরে সি এম সিকিউরিটি, ৩৬০ সিকিউরিটি ইত্যাদি বিভিন্ন অ্যাপ আছে। এই অ্যাপগুলোর দ্বারা ডাটা প্রটেকশন ছাড়াও ভাইরাস, হ্যাকিং থেকে সুরক্ষিত থাকবেন।

ডাটা সেটিংস
আপনার ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সেটিংস রয়েছে যেগুলোকে ব্যবহার করা জরুরি। যেমন আপনার স্মার্টফোনটিকে ওয়াই-ফাই্ হটস্পট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ওয়াই-ফাই ভিত্তিক কিছু অ্যাপস যেমন শেয়ার ইট ব্যবহারের সময় আপনার অজান্তেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনেকসময় হটস্পট চালু হয়ে যায়। এর ফলে আপনার অজান্তে অন্য কেউ আপনার ডাটা ব্যবহারের সুযোগ পাবে।

আরও পড়ুন: আইফোনে কল রেকর্ড করবেন যেভাবে

এমনকি ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে আপনার স্মার্টফোনটি হ্যাক হতে পারে। সেক্ষেত্রে সবকিছু চেক করুন। হটস্পটে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। এবং অবশ্যই প্রয়োজন না থাকলে ব্যবহার শেষে আপনার ডেটা কানেকশন বন্ধ রাখুন।

লেখক: কবিও সাংবাদিক।

কেএসকে/এএসএম

আরও পড়ুন