ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

এক চার্জে ৪৬৫ কিলোমিটার চলবে টাটার ই-কার

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:০৫ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাজারে এলো টাটার নতুন গাড়ি টাটা নেক্সন ইভি ফেসলিফট। সংস্থার দাবি, বৈদ্যুতিক গাড়িটি একবার পুরো চার্জ হলে ৪৬৫ কিলোমিটার চলবে। কয়েক বছর ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে এসইউভিটি, তারই পিওর ইভি বা ইলেকট্রিক ভেহিকল ভার্সন হলো টাটা নেক্সন ফেসলিফট।

২০২৩ টাটা নেক্সন ইভি ফেসলিফটের ডিজ়াইনটি নেওয়া হয়েছে টাটা কার্ভ কনসেপ্ট থেকে। গাড়িটিতে আগের তুলনায় ভিন্ন এয়ার ড্যাম এবং ফুল উইধ এলইডি লাইট বার দেওয়া হয়েছে। তার ফলে গাড়িটি আইসিই কাউন্টারপার্টের থেকে অনেকটাই আলাদা হয়েছে।

গাড়িটিতে দেওয়া হয়েছে একটি ১৬ ইঞ্চির অ্যালয় হুইল। তবে আগের মডেলের মতো এতে ব্লু অ্যাক্সেন্ট উইন্ডো লাইনটি দেওয়া হয়নি। গাড়িটির পিছনে রয়েছে এলইডি লাইট বার, টেইলগাইট নতুন করে তৈরি করা হয়েছে এবং দুই প্রান্তেই ডেল্টা শেপের এলইডি টেইল ল্যাম্প থাকছে। এছাড়া অ্যাঙ্গুলার বাম্পার এবং একটি নতুন ইন্টিগ্রেটেড রুফ স্পয়লার দেওয়ার ফলে গাড়িটি রেঞ্জ-রোভারের মতো লুক পেয়েছে।

আরও পড়ুন: এক চার্জে ৩০০ কিলোমিটার চলবে টাটার নতুন ই-কার

গাড়িটিতে বেশ বড় দুটি স্ক্রিন রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল ১২.৩ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম এবং অপরটি একটি ১০.২৫ ইঞ্চির ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, যা কেবিনের প্রিমিয়াম কোশেন্ট বাড়িয়ে তুলেছে। নতুন ইলেকট্রিক ভেহিকলে রয়েছে স্টিয়ারিং মাউন্টেড প্যাডেল শিফ্টার, ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা, ব্লাইন্ড স্পট মনিটর, ওয়্যারলেস স্মার্টফোন চার্জার, ভয়েস কমান্ড ফাংশন, হাইট অ্যাডজাস্টেবল ভেন্টিলেটেড ফ্রন্ট সিট, এয়ার পিওরিফায়ার, সাবউফার সহযোগে জেবিএল অডিও সিস্টেম এবং সানরুফও দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ফ্রন্ট ও রিয়ার পার্কিং সেন্সর, ইলেকট্রনিক পার্কিং ব্রেক, হিল অ্যাসেন্ট, ডিসেন্ট কন্ট্রোল এবং রিয়ার ডিস্ক ব্রেক দেওয়ার ফলে গাড়িটি আরও সুরক্ষিত হয়েছে। নতুন ইলেকট্রিক ভেহিকলটি আগের তুলনায় আরও অ্যারোডাইনামিক করা হয়েছে। আর তার ফলে গাড়িটির পারফরম্যান্সও আরও ভালো হয়েছে। নিক্সন ইভি-র এই নতুন সংস্করণে আগের মতোই ৪০.৫ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাক দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাটারির সঙ্গে আট বছর অর্থাৎ ১ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটারের ওয়ারান্টি দিচ্ছে টাটা মোটরস।

নিক্সন ইভি ফেসলিফ্টের মোট সাতটি ভিন্ন এক্সটিরিয়ার কালার অপশন রয়েছে: এমপাওয়ার্ড অক্সাইড, প্রিস্টাইন হোয়াইট, ইনটেন্সি টিল, ফ্লেম রেড, ডেটোনা গ্রে, ফিয়ারলেস পার্পল এবং ক্রিয়েটিভ ওশিয়ান। ফেসলিফ্ট ভার্সনের দাম শুরু হচ্ছে ১৪ লাখ ৭৪ হাজার রুপি (এক্স-শোরুম) থেকে ১৯ লাখ ৯৪ হাজার রুপি (এক্স-শোরুম) পর্যন্ত। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৯ লাখ ৪৪ হাজার থেকে ২৬ লাখ ২৯ হাজার টাকা।

সূত্র: অটোকার ইন্ডিয়া

কেএসকে/জেআইএম

আরও পড়ুন