জানেন কি
বিশ্বের ধনীরা গোপন কোন অ্যাপ ব্যবহার করেন?
স্মার্টফোনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করেন। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, চ্যাটিং, ছবি এডিটিংসহ অনেক ধরনের অ্যাপ। একেকটি কাজ একেক রকম। তবে সাধারণ মানুষ এগুলো ব্যবহার করলেও বিশ্বের যেসব ধনী ব্যক্তিরা আছেন তারাও কি এগুলো ব্যবহার করেন? এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই এসেছে কমবেশি।
সাধারণত প্লে স্টোর এবং অ্যাপ স্টোরের অ্যাপ ব্যবহার করলেও গোপন এক অ্যাপ ব্যবহার করেন ধনী ব্যক্তিরা। বিশ্বের সব ধনী ব্যক্তিরা ‘মাইরিয়া’ (Myria) নামের একটি অ্যাপ ব্যবহার করেন। ধনী ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি এই অ্যাপ। এটি একটি প্রাইভেট কনসিয়ারেজ বা প্রহরী কিংবা বলা যায় পাহারাদার পরিষেবা।
আরও পড়ুন: ফেসবুকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়েছে কি না জানবেন যেভাবে
রে ফ্লেমিংস নামের এক ব্যক্তি এই অ্যাপটি বিশ্বের অন্যতম সব ধনী ব্যক্তিদের জন্য তৈরি করেছেন। বর্তমানে এই অ্যাপের রয়েছে ১০০ জন সদস্য। এমনকি অ্যাপটিতে যুক্ত হওয়ার তালিকায় অপেক্ষা করছেন আরও ৫০০ জন ধনী ব্যক্তি। সংস্থার মতে, তারা ২০২৪ সালের মধ্যে এই অ্যাপে সদস্য সংখ্যা হবে ১০০০।
এই অ্যাপের সদস্য হতে প্রথমেই ৩০ হাজার ডলার দিতে হয়। এই অ্যাপের সদস্যদের পরিচয় কখনোই প্রকাশ করা হয় না। এখানে কেউ কারও পরিচয় জানতে পারবেন না। তবে বিশ্বের বড় বড় তারকা, ক্রীড়া তারকা এবং রাজপরিবারের সদস্য, নামিদামি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইওরা আছেন।
অ্যাপের সদস্যরা নানান ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকেন। যেমন-আন্তর্জাতিক কোনো খেলার প্রথম সারির টিকেট, বিমানের বিশেষ সুবিধা, বিলাসবহুল হোটেল বা রেস্তোরাঁর ভিআইপি জোনে সময় কাটানোর সুবিধাসহ নানান সুবিধা। যা তিনি চাইবেন সেভাবেই অ্যাপের মাধ্যমে তার ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: পুরোনো মোবাইল ফোন কাজে লাগানোর উপায়
অ্যাপের একটি চ্যাটবক্সও আছে। যেখানে সরাসরি অ্যাপের কর্মীদের সঙ্গে সদস্যরা যোগাযোগ করতে পারেন। এই অ্যাপের সদস্যদের যে কোনো চাহিদা ফ্লেমিংস পূরণ করতে সক্ষম। যেমন- একবার একজন ধনী ক্লায়েন্ট তাদের জিজ্ঞাসা করেছিল যে তারা অস্কারে যেতে পারবে কি না, ফ্লেমিংস অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের ঠিক পাশেই নবম সারিতে এক জোড়া টিকিট সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিল সেই সদস্যের জন্য। এমনকি এটি করতে তার ২৪ ঘণ্টারও কম সময় লেগেছিল।
ফ্লেমিংস তার সমস্ত দক্ষতা মাইরিয়াতে দিচ্ছেন। তবে আপনি ধনী হলেই যে এই অ্যাপে যুক্ত হতে পারবেন তা কিন্তু নয়, ফ্লেমিংসের সদস্য হলে ধনী ব্যক্তিটির কমপক্ষে ৩০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ থাকতে হবে। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, মাইরিয়া অ্যাপের ধনীরা কোন পর্যায়ের। তবে ফ্লেমিংসের ধারণা, তাদের সদস্য সংখ্যা আরও বাড়বে।
সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক পোস্ট
কেএসকে/এমএস