প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে সফল কনটেন্ট ক্রিয়েটর মাহি
সব বয়সী মানুষের মাঝেই রসবোধ আছে। সেই সঙ্গে আছে বিনোদিত মন। সব মানুষই হাস্যরসাত্মক শিল্প উপভোগ করতে পছন্দ করেন। বিনোদন শিল্প গড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক পদ্ধতি ত্বরান্বিত হয়েছে। সেই আধুনিকায়ন এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। বিনোদনমূলক কনটেন্ট নির্মাণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন সাজিদ হাসান মাহি। যার ফলোয়ার সংখ্যা এখন ১ মিলিয়ন।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। কখনো বন্ধু-বান্ধবী কখনোবা একক অভিনয় চিত্রে মুগ্ধ করেন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচরণকারী মানুষদের। হয়ে ওঠেন সফল কন্টেন্ট নির্মাতা। ২০১৮ সালে কনটেন্ট নির্মাণ শুরু করা মাহি সময়ের ব্যবধানে এখন আলোচিত। শুরুর দিকে পেরোতে হয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা
মাহি বলেন, ‘একটা সময় ছিল, বাবা-মায়ের কাছে আশপাশের মানুষ বলতেন ছেলেটা নষ্ট হয়ে যাবে। কী ভিডিও বানাচ্ছে না বানাচ্ছে। বিপথে চলে যাবে। উল্টো এখন তারা বাবা-মায়ের কাছে আমার প্রশংসা করেন। রাস্তায় বাবা-মাকে তো অনেকে বলেন, আপনিই মাহির বাবা! আপনিই মাহির মা! ভিডিও কনটেন্ট বানিয়ে আমি শুধু বিনোদনই দিচ্ছি না। মোটা অঙ্কের অর্থও আয় করছি।’
কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখা মাহির প্রথম পরিচিতি ও খ্যাতি বাড়িয়েছে বিজ্ঞানবিষয়ক ভিডিও। এরপর ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বানানো ‘মা তো বান্ধবীর মতো’ শিরোনামের ভিডিওসহ বেশ কিছু কনটেন্ট তাকে পৌঁছে দেয় সাফল্যের চূড়ায়।
আরও পড়ুন: ডার্ক ওয়েব
সফল এ তরুণের মনেও আছে চাপা কষ্ট। আছে আফসোসের দীর্ঘশ্বাস। মাহির কনটেন্ট নির্মাণের শুরুতে ছিল যার অবদান, তিনি এখন পরপারের বাসিন্দা। মাহি বলেন, ‘আমার কাকা সাংবাদিক ছিলেন। তার একটি ক্যামেরা ছিল। কাকার কাছে গিয়ে সেই ক্যামেরা চাইতাম। যত কাজই থাকুক, তার ক্যামেরা দিয়ে দিতেন।’
দীর্ঘশ্বাস বুকে চেপে তিনি বলেন, ‘আমি কাকার সেই ক্যামেরা দিয়েই কনটেন্ট নির্মাণ শুরু করি। এখন খ্যাতি, পরিচিতি বা ক্যামেরা সবই আছে আমার। শুধু কাকাই বেঁচে নেই। আমার সফল জীবন তিনি দেখে যেতে পারলেন না।’
এসইউ/এমএস