ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

২৭ বছর পর বন্ধ হচ্ছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:১৮ পিএম, ১৪ জুন ২০২২

১৯৯৫ সালে মাইক্রোসফটের আইকনিক ব্রাউজার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের যাত্রা শুরু। Windows 95 অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে অ্যাড অন প্যাকেজ হিসেবে লঞ্চ হয়েছিল এই ওয়েব ব্রাউজার। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে এই ব্রাউজারটি। যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তারা কমবেশি সবাই জানেন এই ব্রাউজার সম্পর্কে।

তবে বর্তমানে আরও আধুনিক সব ব্রাউজারের জন্য এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা মাত্র ২ শতাংশ। এ কারণেই মূলত এক সময়কার জনপ্রিয় ইন্টারনেট ব্রাউজারটি। শুরুতে অ্যাড অন প্যাকেজ হিসেবে লঞ্চ হলেও পরে তা বিনামূল্যে ডাউনলোডের সুযোগ করে দেয় মাইক্রোসফট।

২০০৩ সালে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিল ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। সেই সময় বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত সব ইন্টারনেট ব্রাউজারের ৯৫ শতাংশ ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ধরে রেখেছিল। যদিও প্রতিযোগী কোম্পানিগুলো একের পর এক ব্রাউজার তৈরি করে বাজারে আনার কারণে ধীরে ধীরে এই আইকনিক ব্রাউজারের জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে।

যে কারণে ২০১৬ সালেই এই ব্রাউজারের ফিচার ডেভেলপমেন্টের কাজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মাইক্রোসফট। সেই সময় মাইক্রোসফট নিয়ে আসে তাদের নতুন ব্রাউজার এডজ। এরপর থেকে নতুন ব্রাউজারের উপরে মনোনিবেশ শুরু করে মার্কিন সংস্থাটি। যে কারণে ধীরে ধীরে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের দিকে নজর আরও কমে যায় মাইক্রোসফটের। ফলাফল ব্যবহারকারী শূন্য হতে থাকে এক সময়ের জনপ্রিয় ব্রাউজারটি।

২০২১ সালের আগস্টে মাইক্রোসফট ৩৬৫ থেকে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার সাপোর্ট বন্ধ হয়েছিল। এর আগে ২০২০ সালের নভেম্বরে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার সাপোর্ট বন্ধ করে মাইক্রোসফট টিমস। সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্ট সত্যি হলে আগামীকাল অর্থাৎ ২০২২ সালের ১৫ জুন থেকে বন্ধ হচ্ছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে সাপোর্ট।

১৯৯০ ও ২০০০ সালের দিকে যারা বাড়ি, স্কুল অথবা অফিস থেকে কম্পিউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন তাদের সবারই ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। তবে ৯০ দশকের প্রজন্ম হয়তো আজ ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করে না। তবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে শেখা, বুকমার্ক করা, প্রথম ইমেল অ্যাকাউন্ট খোলাসহ নেটদুনিয়ায় হাতেখড়ি হয়েছিল ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের মাধ্যমেই। অনেকেই পুরোনো স্মৃতিতে ফিরে গেছেন এই খবরে।

সূত্র: ইকোনোমিক টাইমস

কেএসকে/এমএস

আরও পড়ুন