ইউটিউবে ভুলেও যেসব ভিডিও আপলোড করবেন না
বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। দিনে কয়েক কোটি গ্রাহক রয়েছে ইউটিউবের। শুধু ইউটিউবে নাটক, সিনেমা কিংবা যে কোনো ভিডিও দেখা নয় চাইলে আপনিও আপলোড করতে পারবেন। অনেকেই নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করছেন এই প্ল্যাটফর্ম থেকে।
এজন্য প্রথমেই আপনাকে চ্যানেল খুলতে হবে। এরপর কন্টেন্ট তৈরি করে আপলোড করতে হবে। ইউটিউবের সব নিয়ম মেনেই আপনাকে কাজগুলো করতে হবে। নির্দিষ্ট পরিমাণ ভিউ হওয়ার পরই আয় করতে পারবেন এখান থেকে। তবে ইউটিউব থেকে ব্যানও হতে পারেন যে কোনো সময়।
কিছু ভিডিও আছে যা কখনোই আপনার চ্যানেলে আপলোড করবেন না। এতে আপনার চ্যানেল নিষিদ্ধ হতে পারে ইউটিউবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ভিডিও কখনই ইউটিউবে আপলোড করবেন না-
>> যেসব ভিডিও সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করে তা আপলোড করা যাবে না।
>> অন্যের কন্টেন্ট ভিডিও কখনোই আপলোড করবেন না। কপিরাইট স্ট্রাইক পেতে পারে আপনার চ্যানেল।
>> বর্তমানে সবারই মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। তারপরও এমন কোনো ভিডিও আপলোড করা যাবে না যা অন্যের সম্মানহানি করে।
>> ভিউ বাড়ানোর জন্য কুরুচিপূর্ণ কথা, ব্যক্তিগত আক্রমণ, অপপ্রচার কিংবা আইনত সাইবার বুলিংয়ের পর্যায়ে পড়ে। এ ধরনের ভিডিও বা থাম্বনেইল ব্যবহার করা যাবে না।
>> ধর্মীয় বিষয়ে কটুক্তি কিংবা বিদ্বেষ ছড়ায় এমন ভিডিও ভুলেও আপলোড করবেন না।
>> মিথ্যা তথ্য, যমন-কারো মৃত্যু সংবাদ, কারো নির্বাচনে জয়লাভ বা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কোনো সাম্প্রদায়িক ঘটনা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোনো ভিডিও দেওয়া যাবে না।
>> ইউটিউবে কোনো ধরনের এবিউজিং ভিডিও দেখানো যাবে না। যেমন পোষা প্রাণীদের দিয়ে বিভিন্ন ক্রিয়েটর চ্যানেল আছে, সেখানে এদের পালন, ভেট, ভ্যাক্সিন, ট্রিটমেন্ট, ট্রেন আপ করানোর বিষয় থাকে। তবে এর মধ্যে আইন লঙ্ঘন হয় এমন কিছু দেখানো যাবে না। যেমন ধরুন প্রাণি হত্যা বা নির্যাতনের ভিডিও।
কেএসকে/জেআইএম