বাজারে টাটার নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি
বৈদ্যুতিক গাড়ির জগতে বিশ্ববিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টাটা এসেছে বছর দুই আগেই। টাটা নেক্সন ইভি (Tata Nexon EV) নিয়েই টাটার বৈদ্যুতিক গাড়ি জগতে প্রবেশ। সেই গাড়ি দিয়েই নজির গড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ভারতের বাজারে ২০২০ সালে টাটা নেক্সন ইভির যাত্রা শুরু। কয়েক মাসের মধ্যেই দেশের সর্বাধিক বিক্রিত যাত্রীবাহী ইলেকট্রিক ভেহিকেলের মুকুট উঠেছে টাটা নেক্সনের এই ব্যাটারিচালিত ভার্সনের মাথায়। তারই ধারাবাহিকতায় টাটা নিয়ে এলো টাটা নেক্সন ইভি ম্যাক্স ( Tata Nexon EV Max)।
গত সপ্তাহেই জাঁকজমকপূর্ণভাবে বাজারে পা রেখেছে ভারতের সর্বাধিক জনপ্রিয় বৈদ্যুতিক গাড়ি টাটা নেক্সন ইভির নতুন মডেল। এরই মধ্যে শুধু ভারতের মুম্বই থেকে গাড়িটির ২০০ বুকিং এসেছে। জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে ডেলিভারি শুরু হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
টাটা নেক্সন ইভি ম্যাক্সের তিনটি ভ্যারিয়েন্ট XZ+ ও XZ+ Lux লঞ্চ হয়েছে। গাড়িটিতে ৪০.৫ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাক ও ১৪৩ বিএইচপি ক্ষমতা ও ২৫০ এনএম টর্ক উৎপাদন সক্ষম ইলেকট্রিক মোটর রয়েছে। সাধারণ মডেলের তুলনায় আউটপুট ১৪ বিএইচপি ও ৫ এনএম বেশি। ০-১০০ কিমি/ঘন্টা গতিবেগ তুলতে ৯ সেকেন্ড সময় লাগে।
গাড়িটির রেঞ্জ ৪৩৭ কিমি। তবে বাস্তবিক পরিস্থিতিতে ৩০০ কিমির কাছাকাছি রেঞ্জ মিলতে পারে। আগের চেয়ে বড় ব্যাটারি থাকা সত্ত্বেও নেক্সন ইভি ম্যাক্সের বুট স্পেস আগের মতোই ৩৫০ লিটার রয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড মডেলটির চাইতে ম্যাক্স ভার্সনের ওজন ১০০ কেজি বেশি। বাড়তি ওজন বহন করার জন্য এর ডাম্পার এবং স্প্রিং আরও শক্তপোক্ত। এসব করতে গিয়োগ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১০ মিমি কমে গিয়েছে।
নেক্সন ইভি ম্যাক্সের সঙ্গে একটি ৩.৩ কিলোওয়াট আওয়ার পোর্টেবল চার্জার স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে মিলবে। যার মাধ্যমে গাড়িটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে সময় লাগবে ১৫-১৬ ঘণ্টা। তবে অতিরিক্ত মূল্যে কেনা যাবে ৭.২ কিলোওয়াট আওয়ার পোর্টেবল চার্জার, যা দিয়ে ব্যাটারিটি ৫-৬ ঘণ্টায় সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যাবে।
আবার গাড়িটি ৫০ কিলোওয়াট ডিসি ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে৷ ফলে ৫৬ মিনিটে ৮০ শতাংশ চার্জ হয়ে যাবে। নেক্সন ইভি ম্যাক্সের উপরে ৮ বছর / ১ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটারের ওয়ারেন্টি দেওয়ার ঘোষণা করেছে টাটা। টাটা নেক্সন ইভি ম্যাক্সের দাম ভারতীয় বাজারে ১৭ লাখ ৭৪ হাজার থেকে ১৯ লাখ ২৪ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে (এক্স-শোরুম)।
কেএসকে/এএসএম