দেশে উৎপাদিত ফাইভজি মোবাইল আমেরিকায় যাচ্ছে: মোস্তফা জব্বার
বাংলাদেশে উৎপাদিত ফাইভজি মোবাইল ফোন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেছেন, ‘সরকারের প্রযুক্তিবান্ধব নীতির কারণে দেশে বিশ্বমানের ১৪টি মোবাইল কোম্পানি মোবাইল ফোন কারখানা করেছে। আরও চারটি কারখানা স্থাপন পাইপ লাইনে আছে। নেপাল ও নাইজেরিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশে আমাদের উৎপাদিত ল্যাপটপ ও কম্পিউটার রপ্তানি করছি। বাংলাদেশে উৎপাদিত ফাইভজি মোবাইল ফোন যুক্তরাষ্ট্রেও রপ্তানি করা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী মেকার কমিউনিকেশন আয়োজিত ‘স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপো-২০২২’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল ডিভাইস আমদানিকারক একটি দেশ ছিল। তবে এখন আমরা বিভিন্ন ডিভাইস উৎপাদন এবং রপ্তানি করছি। আমদানিকারক থেকে উৎপাদনকারী এবং রপ্তানিকারী দেশে রূপান্তর হওয়াটা আমাদের জাতীয় জীবনে এক অভাবনীয় অর্জন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন জাতিকে দেখিয়েছিলেন, তা আজ পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি।’
ফাইভজি প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের প্রবেশকে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশে বাংলাদেশ বিশ্বের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’
ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জসমূহ তুলে ধরে এই খাতে নিজের ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রমের যাত্রা শুরু করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি স্বাধীনতার পর আইটিইউ ও ইউপিইউ–এর সদস্যপদ অর্জন। বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, টিঅ্যান্ডটি বোর্ড গঠন, কারিগরি শিক্ষা বিস্তারে যুগান্তকারী উদ্যোগ নেন।’
মোস্তফা জব্বার আরও বলেন, ‘অতীতে দুটি শিল্পবিপ্লব মিস করলেও বঙ্গবন্ধু তৃতীয় শিল্পবিপ্লবে শরীক হওয়ার অভিযাত্রা শুরু করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্যসমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৮ বছরে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় উপনীত করেছেন।’
এইচএস/এএএইচ/জেআইএম