ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখার উপায়
হ্যাকারদের অত্যাচারে কোথাও নিরাপত্তা নেই। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সবকিছুই এখন ঝুঁকির মুখে। প্রযুক্তির কল্যাণে যতখানি আমরা সুবিধা পেয়েছি, ঠিক ততটাই অসুবিধায়ও পড়তে হচ্ছে।
আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে, আমি তো বিশেষ কোনো ব্যক্তি নই। তাহলে আমার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিদিন প্রায় ৬ লাখ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হচ্ছে। সবাই কিন্তু বিশেষ ব্যক্তি নন। সাধারণ মানুষেরাও বিপদে পড়ছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে ফেসবুক। দিন দিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আট থেকে আশি সব বয়সী মানুষেরাই এই মাধ্যমে বেশ সরব। বিপদ থেকে বাঁচতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি নিরাপদ রাখার কিছু উপায় জেনে নিন-
> যেখানে সেখানে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগইন করবেন না। তবে কাজের ক্ষেত্রে একান্ত প্রয়োজন হলে অবশ্যই তা মনে করে লগআউট করে বের হোন।
> যেখানে অনেক ব্যক্তি একই কম্পিউটার ব্যবহার করেন। সেখানে অবশ্যই ফেসবুক ব্যবহার শেষে লগআউট করুন। যদি ভুলে যান, তাহলে ফোন বা অন্য কোনো কম্পিউটারে ফেসবুকে লগইন করে সিকিউরিটি অ্যান্ড লগইন সেটিংয়ে গিয়ে দেখতে পাবেন সর্বশেষ কোথায় আপনি লগইন করেছিলেন। সেখানে ডিভাইস শনাক্ত করে লগআউট করে দিতে পারেন।
> এ ছাড়াও কখনোই ফেসবুকের লগইন তথ্য ফেসবুক ছাড়া আর কোথাও প্রবেশ করানো যাবে না। অনেক সময় স্ক্যামাররা ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেসবুক আইডির লগইন ইমেইল বা পাসওয়ার্ড চাইতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে আগে সেই ওয়েবসাইটের ইউআরএল দেখে নিন। ফেসবুকের বাইরে আরও কোনো শব্দ সেখানে থাকলে বা কোনও সন্দেহ হলেই www.facebook.com টাইপ করে অ্যাকাউন্ট খুলুন।
> ফেসবুকের পাসওয়ার্ড অন্য কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয় বা এটি কারো সঙ্গে শেয়ার করা ঠিক না। পাসওয়ার্ড হতে হবে ছোটবড় অক্ষর ও নম্বর মিলিয়ে কমপক্ষে ৮ সংখ্যার, কেউ যাতে সহজে ধারণা করতে না পারে।
> ফেসবুকের টু ফ্যাক্টর অপশন অন করে রাখুন। এতে আপনার পাসওয়ার্ড জানা থাকলেও আপনার পারমিশন ছাড়া অন্য কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারবে না।
> ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুকের পরামর্শ হচ্ছে, কখনোই এমন কাউকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ না করা, যাকে আপনি চেনেন না। এক্ষেত্রে হ্যাকাররা হয়তো মিথ্যা পরিচয়ে আপনার বন্ধু হয়ে আপনার টাইমলাইনে স্প্যাম ছড়াতে পারে, আপনাকে বিব্রতকর পোস্টে ট্যাগ করতে পারে বা হ্যাকিংয়ের মেসেজ পাঠাতে পারে।
> সন্দেহজনক কোনো লিংকে ক্লিক না করবেন না। যদি ঘনিষ্ঠ কোনো বন্ধু বা ফেসবুক বন্ধুর কাছ থেকে কোনো ইমেইল, ম্যাসেঞ্জারে বার্তা বা পোস্ট পান, যা হয়তো তার স্বাভাবিক আচরণের সঙ্গে মেলে না, সবচেয়ে ভালো হবে সেটায় ক্লিক না করা বা সাড়া না দেয়া।
> ফেসবুকের সিকিউরিটি এন্ড লগইন পাতায় গিয়ে দেখতে পারবেন, কোনো কোনো ডিভাইসে আপনার আইডি লগইন হয়েছে। অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তার জন্য বাড়তি কিছু ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে ফেসবুক। এর সবগুলোই রয়েছে আপনার অ্যাকাউন্টের সিকিউরিটি এন্ড লগনই পাতায়।
> ফেসবুকের একবারে ডানদিকে যে চিহ্নটি রয়েছে, সেখানে ক্লিক করে সিকিউরিটি অ্যান্ড লগইনে প্রবেশ করতে পারবেন। অন্যদিকে সতর্কতা হিসেবে দ্বিস্তর নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করা এবং অন্তত তিনজন বন্ধুকে নির্বাচন করার পরামর্শ দিয়েছে ফেসবুক।
কেএসকে/জেআইএম