তরুণদের সেরা পছন্দ রিয়েলমির বাংলাদেশে ১ বছর পূর্ণ হলো
বিশ্বব্যাপী তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে। এক বছরের মধ্যেই ব্র্যান্ডটি দেশের মোবাইল বাজারে উল্লেখযোগ্য শেয়ার দখল করে বিস্ময়কর প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। পাশাপাশি ২০২০ সালে যেকোনো মোবাইল ব্র্যান্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২টি স্মার্টফোন এবং ৫টি স্মার্ট ডিভাইস লঞ্চ করে বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করে রিয়েলমি। তাদের প্রতিটি স্মার্ট ডিভাইস নির্দিষ্ট প্রাইজ রেঞ্জে তরুণদের মন জয় করেছে।
এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রিয়েলমি এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বাজারে প্রথম বছরে রিয়েলমি রেকর্ডসংখ্যক স্মার্টফোন বিক্রি করেছে। ২০২০ সালে দারাজে মাত্র এক মিনিটে তিন হাজারেরও বেশি রিয়েলমি সি১৭ স্মার্টফোন বিক্রি হয় এবং ওই অনলাইন মার্কেটপ্লেসে মাত্র এক মিনিটেরও কম সময়ে দেড় হাজার রিয়েলমি সিক্স হ্যান্ডসেট বিক্রি হয়েছিল। উভয় স্মার্টফোনই তাদের নিজস্ব মূল্য পরিসরে দারাজের অনলাইন বিক্রয়ে রেকর্ড গড়েছে। রিয়েলমি সি১৭ রিয়েলমির সি সিরিজের একটি ফোন। সি সিরিজের ফোনগুলো মূলত এন্ট্রি-লেভেলের ব্যবহারকারীদের জন্য। রিয়েলমি সিক্স রিয়েলমির নাম্বার সিরিজের ফোনগুলোর অন্তর্ভুক্ত, যেগুলো মূলত মিড লেভেল ব্যবহারকারীদের জন্য।
মিড লেভেল স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এমন কিছু অ্যাপ ব্যবহার করেন যেগুলো চালাতে মৌলক ফিচারের বাইরেও বেশ কিছু উন্নতমানের ফিচারের প্রয়োজন। বাংলাদেশে ২০২০ সালে রিয়েলমির আনা সর্বশেষ ফোনটি ছিল জি৮৫ গেমিং প্রসেসর যুক্ত নারজো ২০, যার দুই হাজার ইউনিট দারাজে মাত্র ২ মিনিটে বিক্রি হয়। এটি দারাজে সবচেয়ে দ্রুত বিক্রি হওয়া গেমিং স্মার্টফোন। গেমিং ফোনের মধ্যে নারজো সিরিজের ফোনগুলোতে রয়েছে শক্তিশালী প্রসেসর এবং দুর্দান্ত ফিচার, যা গেমিংয়ের অভিজ্ঞতা বহুগুণে বাড়িয়ে তুলে।
গত এক বছরে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করায় রিয়েলমির সাফল্য এখন তুঙ্গে। ইতোমধ্যে তারা বাংলাদেশের বাজারে শীর্ষ চারে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছে। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের দেয়া তথ্য অনুসারে ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে রিয়েলমি বাংলাদেশে ১০০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। পরের প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ২৫০ শতাংশ এবং পরবর্তী প্রান্তিকেও এই হার অব্যাহত ছিল।
এর ফলে, রিয়েলমি দেশের মোবাইল বাজারে উল্লেখযোগ্য শেয়ার দখল করতে সক্ষম হয়েছে। ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে, রিয়েলমির মার্কেট শেয়ার অংশ ছিল ৬ শতাংশ, যা বেশ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ধাপে ধাপে এক বছরেই রিয়েলমি বাংলাদেশের শীর্ষ স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের একটি হয়ে উঠেছে। কিছু দিন আগে, ২০২০ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে শিপমেন্টের ক্ষেত্রে রিয়েলমি ‘শীর্ষ ১০ টিডব্লিউএস ব্র্যান্ডস’ এ জায়গা করে নেয় (কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ অনুসারে)।
একাধিক তথ্য প্রতিবেদন অনুসারে, ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণরা রিয়েলমি স্মার্টফোন এবং এআইওটি পণ্যের মূল ভক্ত। এজন্য কাউন্টারপয়েন্ট এমন সম্ভাবনা তুলে ধরেছে যে, ‘ওয়্যারেবলসের ক্ষেত্রে রিয়েলমি স্মার্টফোনে তার সাফল্যের ধারা বজায় রাখবে।’ ভক্ত এবং ব্যবহারকারীরা রিয়েলমির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্র্যান্ডটি নিয়মিত বিভিন্ন জরিপ, অনলাইন ও অফলাইন দোকানে পর্যালোচনার মাধ্যমে তাদের ভক্ত এবং ব্যবহারকারীদের মতামত নিয়ে থাকে।
সামনের বছরগুলোতেও রিয়েলমি তাদের এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখবে এমন আশা প্রকাশ করে রিয়েলমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার টিম শাও বলেন, ‘এমন বিপুল পরিমাণ সমর্থনের জন্য আমরা আমাদের ভক্ত ও ব্যবহারকারীদের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। এতো অল্প সময়ের মধ্যে আমরা যে ভালবাসা পেয়েছি তাতে আমরা অভিভূত। বাংলাদেশে যাত্রার দ্বিতীয় বছরে আমরা নিশ্চিতভাবে আরও আকর্ষণীয় এবং উদ্ভাবনী ট্রেন্ডি স্মার্টফোন এবং পণ্য গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এসে তাদের চমকে দেব।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘ডেয়ার টু লিপ’ চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি দ্বিতীয় বছরে আরও বেশি ফ্ল্যাগশিপ ফোন এবং ট্রেন্ড-সেটিং এআইওটি পণ্য বাজারে এনে বাংলাদেশের ১ নম্বর স্মার্টফোন ব্র্যান্ডে পরিণত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ভক্তরা এ বছরই রিয়েলমির সুপার ফ্ল্যাশশিপ এক্স সিরিজের স্মার্টফোনগুলোর অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ পাবেন। একইসঙ্গে ‘ডেয়ার টু লিপ’ প্রযুক্তির ট্রেন্ডসেটার হিসেবে ব্র্যান্ডটি বাংলাদেশের বাজারে ৫জি স্মার্টফোন নিয়ে আসবে। এছাড়াও, খ্যাতনামা ব্যক্তি ও ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে বিভিন্ন ‘ডেয়ার টু লি’ ক্যাম্পেইন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে রিয়েলমির। এই বছর রিয়েলমি ফ্যাশন, গান, খেলাধুলা এবং অন্যান্য তরুণ-কেন্দ্রিক কার্যকলাপের মাধ্যমে ভক্ত এবং তরুণদের সঙ্গে নিজেদের আরও যুক্ত করবে।
ইএ/জেআইএম